শেরপুরের নকলায় বিএডিসি আলু চাষীদের ২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :

শেরপুরের নকলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর চুক্তিবদ্ধ আলু চাষীদের দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। জেলার নকলা বিএডিসি হিমাগার এর মিলনায়তনে মান সম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ৩০ জন কৃষককে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চুক্তিবদ্ধ আলু চাষীদের ২দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

বিএডিসি হিমাগারের উপপরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান সম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবীর হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি ঢাকার উপপরিচালক (মান নিয়ন্ত্রণ) কৃষিবিদ এএসএম খায়রুল হাসান শামীম।

তাছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক হিসেবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন শেরপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ আবু সাঈদ মো. আখতারুজ্জামান, কৃষিবিদ মো. রিয়াজুল ইসলাম উপপরিচালক (বীবি) বিএডিসি জামালপুর, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কন্দাল ফসল) কৃষিবিদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বিএডিসি হিমাগারের উপপরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সারাদেশের ৩০ জোনে একযোগে ২দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলে।

এর অংশ হিসেবে শেরপুরের নকলায় ১৯টি ব্লকের আওতায় ৩০ জন কৃষককে ২দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সরকার কর্তৃক প্রাপ্য প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদী ও প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। তবে উপপরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সংকলণে ও নিজস্ব অর্থায়নে মুদ্রিত বিশেষ ম্যানুয়েল প্রশিক্ষণার্থী আলু চাষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েলটি অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (সিডিপি ক্রপস) বিএডিসি ঢাকা, উক্ত প্রকল্প পরিচালক, যুগ্ম পরিচালক (মাননিয়ন্ত্রণ), উপপরিচালক (মাননিয়ন্ত্রণ) বিএডিসি ঢাকা মহোদয়ের বিশেষ অনুপ্রেরনায় এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন বই, পত্রিকা, খ্যাতিমান বিভিন্ন কৃষিবিদ ও গবেষকগণের লেখাসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সংকলণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

উপপরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের যে কোন কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে ও প্রচেষ্ঠায় সংকলণ ও মুদ্রণ করা এ প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েলটি প্রয়োগ করতে পারলে, কৃষকরা বেশ উপকৃত হবেন।

প্রশিক্ষণ শেষে অনেক কৃষক প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞানকে ভুলে যান, কিন্তু এই প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েলটি তাদের বাড়িতে থাকলে তা থেকে পুনরায় শিক্ষা নিয়ে মাঠে প্রয়োগ করতে পারবেন। এতে করে প্রশিক্ষণটি কৃষকের মাঝে স্থায়ী বা টেকসই হবে বলে কৃষিবিদ রফিকুল ইসলামসহ অনেকে মনে করছেন।