ভয়কে জয় করে চিরদৃষ্টান্ত স্থাপন করেন করোনাজয়ী মেহেদী হাসান শাওন

নিজেস্ব প্রতিবেদক :

আহা বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়, আমরা করবো জয়!
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার কৃতি সন্তান মেহেদী হাসান (শাওন) হাওলাদার পেশায় একজন ব্যাংকার ও রাজনীতিবিদ।

এ ছাড়া বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্তব্যরত আছেন।দেশের করোনা প্রার্তুভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আদেশ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশক্রমে জীবনের ঝুকি নিয়ে লকডাউনের মাঝেও ব্যাংকিং সেবা দিয়ে জনগনের সেবা দিয়েছেন।নিজ উদ্যোগে ছুটির দিনে সাধারণ মানুষের পাশে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ও হ্যান্ড স্যানিটেশন বিতরন করে পাশে দাড়িয়েছেন।প্রশাসন এর সাথে কথা বলে অসহায় মানুষের কাছে ত্রান পেতে সহায়তা করেছেন।

কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস ২৫শে জুন২০২০ তারিখে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পরেন। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় এসে পরের দিন ২৬শে জুন করোনা পরীক্ষা করতে দেন। ২৯শে জুন করোনা পজেটিভ আসে। অফিস থেকে আসার পর সে সব সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হট লাইন ১৬২৬৩ নাম্বারে ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ রাখেন।তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সি জাতীয় ফল,বেক্সট্রিম সিলভার+নাপা এক্সট্রা+জিং+সিভিট ঔষধ, গোসলের জন্য স্যাভলন এবং ২১দিন কোয়ারেন্টাইন এ থাকার জন্য যাবতীয় মালামাল নিয়ে বাসায় ওঠেন। এদিকে বাসায় থাকতো সে একা সব কিছু নিজে নিজে করতে হতো। আর মা-বাবা আত্মীয়পরিজন ফোন দিলে ভাল আছি বলে মিথ্যে সান্ত্বনা দিতেন। তবে হ্যা তিনি তার এই অসুস্থতাজনিত কথা শুধু মাত্র তার অফিসের ম্যানেজার এর সাথে শেয়ার করেছিলেন।আর যাতে এ ব্যাপারে কাউকে না জানায় সে ব্যাপারে তাকে জ্ঞাত করেছেন।

কোয়ারেন্টাইন এর ১০দিনের মাথায় তার বড় বোন কে সে সত্যিটা জানান এবং ১২দিনের মাথায় পিতা-মাতাকে জানান।অন্যদিকে, প্রতিনিয়ত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন।অন্যদিকে,অফিসের ম্যানেজার সব সময় খোজ খবর নিতেন। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জ্বর ভেংগে ভেংগে উঠতো, শরীর খুব ক্লান্ত হয়ে থাকতো,খাবার রুচি কমে যেতো।সর্বপরি গরম পানি+লেবু,কফি,গরম পানির ভাপ প্রতিনিয়ত নিতে খুব কষ্ট হতো।

তবে, নিজেকে সে কখনো দুর্বল ভাবেননি। একবারের জন্যেও নিজেকে বুঝতে দেয়নি আমার মরণঘাতক করোনা হয়েছে।তবে, মানসিকভাবে খুব বিষণ্ণতার মাঝে কাটাতে হয়েছে। সবসময় বাসায় একা বন্দী খুব বিষন্নতা ও ইবাদতের মধ্য দিয়ে কোয়ারেন্টাইন এর ২১দিন শেষ করেন।

পরিবারের সবাই ফোনে যোগাযোগ রাখতেন কেউ যাতে না আসে সে জন্য অনুরোধ করতেন।কেননা,সে চাইতো না তার জন্য পরিবারের কারো সমস্যা হোক। অবশেষে ১০ জুলাই দ্বিতীয় পরীক্ষা করতে দেন। দীর্ঘ ৭দিন পর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।

ভয় কে জয় করে এভাবে সে একা করোনার সাথে লড়াই করেন। আল্লাহপাকের ইচ্ছায় এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ডাক্তার ফাউন্ডেশন থেকে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান কোন ডাক্তারের জীবন বাচাতে যদি আমার প্লাজমা দিতে হয় আমি সর্বদা প্রস্তুত।

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রি. ২১ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৬ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, শনিবার

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, প্রিয় সময় গুজব প্রচার করে না