

মিজানুর রহমান রানা :
হঠাৎ করেই সিফাত বললো, রানা ভাই আসিফ। আমি ঘাড়টা ঘুরিয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই মনে হলো এ যেনো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। আসিফ ভাই স্বভাবসুলভ গলায় বললেন, কেমন আছেন আপনারা?
আমরা বসেছিলেম হাজীগঞ্জ স্টার হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চাইনিজে। একজন অ্যাডভোকেটসহ একটা সংবাদের বিষয়ে সিফাতের কাছে দীর্ঘক্ষণ ধরে গল্প শুনছিলাম। এক নিউজের জন্য গিয়ে এক বিড়ম্বনা এবং অবশেষে জনকল্যাণ কাজ এক অসহায় নারীর বিয়ে বিষয়ক। সিফাতের গল্পটা শেষ হতে হতে হচ্ছে না, গল্পটা মজাই লাগছিলো। আর আমিও দীর্ঘদিন পর সিফাত ও তার সহকর্মীদের সাথে ভালো একটা সময় কাটাচ্ছিলাম।

এই সময়ই দরজা ঠেলে অতিসাধারণভাবে আসিফ প্রবেশ করলেন। প্রথমেই পত্রিকার গল্পের প্রয়োজনে তাঁর সাথে কুশল বিনিময় :
: কেমন আছেন ভাই?
: হ্যাঁ, খুব ভালো।
: হাজীগঞ্জে হঠাৎ কি মনে করে?
: আরে আমি তো ছোটবেলায়ই হাজীগঞ্জে একবার এসেছিলাম, সেই কাঠবডি বোগদাদ বাসে করে। হাজীগঞ্জের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।
এ সময় কোত্থেকে খবর পেয়ে ভক্তের ঢল প্রবেশ করলো। আর আসিফও দেখলাম কোনো অহঙ্কার, গর্ব নেই। হোটেলের বয়দের সাথেও সেলফি তুলছেন। কাউকেই নিরাশ করলেন না।
এ সময় আমি বললাম, ভাই আপনি অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন, নাস্তাটা খেয়ে নিন, তারপর না হয় ওদের আব্দার মিটাবেন।
কিন্তু আসিফ খাচ্ছেন, আর মাঝে মাঝে ভক্তদের নিরলস আব্দার (সেলফি)তে পোজ দিচ্ছেন।
ভক্তদের কিছুটা ফাঁকে প্রশ্ন করলাম, এখানে কোথায় এসেছেন।
তিনি বললেন, বলাখাল একটা পারিবারিক প্রোগ্রামে।
আমি বললাম, আরে আমার বাড়িও তো বলাখাল।
তিনি মনোরম হাসি দিয়ে বললেন, তাহলো তো ভালই।
এরপর প্রশ্ন করলাম, আর কোনো প্রোগ্রাম আছে?
তিনি বললেন, হ্যাঁ মহামায়ায় সাবেক আইজি জাবেদ সাহেবের বাড়িতে যাবো।
এ সময় প্রশ্ন করলাম, হাজীগঞ্জ আপনার কাছে কেমন লাগছে।
তিনি বললেন, হ্যাঁ, স্পেস ভালো, হাজীগঞ্জ অনেক ডেভলাপ হয়েছে। হাজীগঞ্জ অনেক দিন পরে এসেছি। তখন তো সরু রাস্তা ছিলো। এখন তো অনেক জ¦লজ¦লে। হাজীগঞ্জে সবাইর জন্য শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকবেন।
: হাজীগঞ্জ এসে কেমন অনুভ‚তি আপনার?
হঠাৎ করেই তিনি মজা করে বললেন, ভালো। তবে মুন্নী সাহার মতো না।
কথাটা বলেই তিনি হেসে উঠলেন।
এরপর হোটেল মালিক আব্দার করলেন, তাঁর হোটেলের লগোর সাথে একটা ছবি তোলার জন্য। সত্যিই তিনি খাওয়া ত্যাগ করে সেটাই করলেন।
আমি অবাক হলাম। আসলে তিনি কাউকে নিরাশ করলেন না। একজন খ্যাতিমান মানুষ এতো সহজেই সাধারণ মানুষদের সাথে সাধারণ্যে হয়ে উঠলেন, যা আসলেই অবাক করার মতো। সত্যিই আসিফের কাছ থেকে কিছু শেখার আছে। চমৎকার একজন মানুষ। সময়টা বেশ কাটলো।
