নিখোঁজের দুইমাস পর রেহানার লাশ উদ্ধার, আটক ২

মাকসুমুল মুকিম, দোহার-নবাবগন্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি :

নিখোঁজের দুই মাস পর অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রেহেনা পারভিনের (৩৭) লাশ উদ্ধার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া আক্তার (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহাম্মদ মুঈদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের বিষয় তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার জানান, গত দুইমাস আগে নিখোঁজের পর অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ ও হাইকমিশন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেহেনা পারভিনের অবস্থান শনাক্ত ও উদ্ধারে তথ্য চেয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে বার্তা পাঠান।

এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর নিখোঁজ রেহেনার মা আইরিন আক্তার বাদি হয়ে রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে একটি অপহরণ মামলা করেন।

মামলার চারদিন পর দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকশ দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় অভিযান পরিচালনা করে আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া আক্তার (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করে।

পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ও লাশ গুমের তথ্য অনুযায়ী আশুলিয়ার নয়ারহাট মৌনদিয়া চৌরপাড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ রেহেনার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরো জানান, মূলত রেহেনা ও তার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিলো। চলতি বছরের ৬ জুন রেহেনা তার ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে আসে। একই মাসে তার স্বামী দেশে এসে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে কৌশলে রেহেনাকে আশুলিয়া নিয়ে হত্যা করে এবং অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করে অস্ট্রেলিয়া পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর নিহতের পরিবারের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে নবাবগঞ্জ থানার পরিবেশ। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

You might like