প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে এনবিআরের নির্দেশনা : বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা উচিত

দেরীতে হলেও পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে মনোযোগ দিতে পেরেছি আমরা। একটা নিয়মে আমাদের চলে আসা উচিত; যেন আমরা আমাদের পরিবেশকে যথাযথভাবে বিকল্প পন্থায় রক্ষা করতে পারি। এক্ষেত্রে কারো নিষ্ক্রিয় থাকার উপায় নেই; সকলকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক অবস্থা নিয়ে পরিবেশ বাঁচাতে নিজ নিজ পদক্ষেপে এগিয়ে আসতে হবে।

কেননা বর্তমানে যেভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার দৃশ্যমান তাতে ভবিষ্যৎ ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে না; আমরাই আমাদের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছি। কিন্তু পরিবেশকে রক্ষার জন্যে প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জনের পাশাপাশি ব্যবহারের জন্যে সুন্দর পরামর্শ আমরা এনবিআর থেকে পাই; যা’ অত্যন্ত কার্যকরী। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের ১০ নির্দেশনা দিয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সামীম আহসান স্বাক্ষরিত আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহারজনিত দূষণ বিশেষত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী হতে দূষণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে কাজ করছে।

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণকল্পে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কর্তৃক আধা-সরকারিপত্রের (আধা-সরকারিপত্র) মাধ্যমে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকসামগ্রী ব্যবহারের পরিবর্তে বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো ঃ (১) প্লাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার। (২) প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন বা জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার। (৩) প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাচের বোতল ও কাচের গøাস ব্যবহার। (৪) প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন বা জুট ফেব্রিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহার। (৫) দাওয়াত পত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচারপত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করা। (৬) বিভিন্ন সভা বা সেমিনারে সরবরাহকৃত খাবারের প্যাকেট যেন কাগজের হয় ও পরিবেশবান্ধব হয় সেটি নিশ্চিত করা। (৭) একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গøাস, কাপ, কাটলারিসহ সব ধরনের পণ্য পরিহার করা। (৮০ প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল বা কাগজের কলম ব্যবহার। (৯) বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সব ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা। (১০) ফুলের তোড়াতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা।

উল্লেখ্য, এসব নির্দেশনা বিশেষ করে অফিস-আদালতগুলোকে পালন করে শুরু করতে হবে। তাহলে তাদের অনুসরণ করে সাধারণ জনগণও প্লাস্টিক বর্জন ও এর পরিবর্তে পচনশীল উপকরণ ব্যবহার করা অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। অতএব, আমরা আশা করতে পারি যে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎকে রক্ষা করতে পারবো-এসব নির্দেশনা পালনের মধ্যদিয়ে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায় কি?

You might like