সম্পাদকীয়
জনগণের টাকা, জনগণের প্রয়োজন, জনগণের সুবিধা; অথচ এটা যদি নির্ধারণ করে অন্য কেউ, তাহলে স্বাধীনতা রইলো কীভাবে! এতে কোনো স্বাধীনতা থাকলো না। জনগণ মোবাইলে লোড করে মিনিট কেনে প্রয়োজনে কথা বলার জন্যে। কিন্তু তা’ কেনো টাইম লাইন নির্ধারণ করবে কোম্পানী! তাছাড়া পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় মোবাইলের খরচ অত্যন্ত বেশি! যা’ জনগণের কথা চিন্তা করে কমানো প্রয়োজন।
গত ০৩ নভেম্বর২০২৪ জাতীয় দৈনিক যুগান্তরে ‘মোবাইল ফোনের কলরেট কমানোর আহŸান নাহিদের’ এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটিতে আমরা সাধারণ জনগণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছি ও সমর্থন করি। সংবাদটি সময়োপযোগী ও অত্যন্ত জরুরী! তাছাড়া জনগণেরও এ বিষয়ে আন্দোলন আমরা দেখতে পেয়েছি। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, ‘মোবাইল অপারেটর রবি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকে যুব সমাজের আগ্রহ ও প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল ফোনের কলরেট কমানো এবং ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহŸান জানান তিনি।’ এখন এটি দেখার বিষয় কবে থেকে এ আহŸান বাস্তবায়ন হবে! এতে আমরা পরিস্কার যে, অন্তর্বর্তী সরকার একটা পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে ও সাধারণ জনগণের জন্যে চিন্তা করে সবসময়। এটা সত্য যে, সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং সম্ভাবনার নতুন নতুন দরজা খুলে যাবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে বলেও উপদেষ্টা নাহিদ জানিয়েছেন। দেশের উন্নয়নের জন্যে দেশের যুবসমাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, তাদের কর্মসংস্থান ও সুযোগ সুবিধার বিষয়ে ভাবতে হবে। যুব সমাজের আগ্রহ ও প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল কলরেট কমানো এবং ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর প্রয়োজন রয়েছে।
সাধারণভাবে আমরা চিন্তা করলে দেখি, একটি পরিবারে ৪ জন সদস্য থাকলে তাদের সকলেরই হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত হতে শুরু করে, গরীব পরিবারেও মোবাইল রয়েছে। সকলের খরচ হিসেব করলে একটি পরিবারে প্রতিমাসে প্রায় ২০০০ টাকার মতো খরচ হয়ে যায়। এটা খুবই ব্যয়বহুল বলেই আমরা মনে করি। অত্যন্ত এ বিষয়টিকে এভাবে চিন্তা করলেও আমরা তাদের জন্যে ব্যবস্থা করতে পারি। যোগাযোগ সকলেরই দরকার রয়েছে; যেহেতু ডিজিটালে আমরা বসবাস করছি। একদিকে ডিজিটাল চিন্তা করছি; কিন্তু অন্যদিকে খরচের বিষয়টি আকাশচুম্বি; তাহলে তো সেটা নিয়ে কথা বলতেই হয়। একটি পরিবারে ৫০০ টাকা খরচই কি যথেষ্ট নয়? তাছাড়া মেয়াদের বিষয়েও বাস্তবায়না মেয়াদহীন হওয়া দরকার!
যদি মোবাইলের কলরেট কমানো যায় ও মেয়াদবিহীন হয় তাহলে এটা খুবই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে সকলের পক্ষেই। এজন্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে সবার আগে। আমরা অতীতেও দেখেছি যে, অনেক বিষয়েই শুরুতে জোরেশোরে দাবি উঠে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না; বা সকলেই বিষয়টি ভুলে যায়। আমরা আশা করি, মোবাইলের বিষয়ে এমন প্রস্তাবে তেমনটা হবে না; বাস্তবায়নই আমরা প্রত্যাশা করছি। আমরা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রইলাম!
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায় কি?