সম্পাদকীয়
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের বর্তমান পরিবেশ বিপর্যস্ত! কোথাও কোথাও পরিবেশের এমনই বেহালদশা যে আমরা হতাশ হয়ে যাই। পরিবেশের করুণ পরিস্থিতি আমাদের ভাবিয়ে তোলে। সে হিসেবে আমরা চিন্তা করলে বুঝতে পারবো যে, আমরা খুবই মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। আর পরিবেশ আমাদেরকে উল্টো আঘাত করবে বা আমাদের জন্যে ক্ষতিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে-তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।
গত ২০ নভেম্বর জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকে ‘ পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিনের পরিবর্তে কলাপাতায় লবণ বিক্রি শমসের আলীর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি একজন বয়স্ক ব্যক্তির পরিবেশ রক্ষার ভাবনা। অবশ্য তার এ উদ্যোগকে আমরা একটি উপায় হিসেবেও গ্রহণ করতে পারি। আর তিনিই আমাদেরকে শিখিয়ে দিচ্ছেন, কীভাবে পরিবেশকে রক্ষা করতে হয় বা পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের কীভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, পলিথিনের পরিবর্তে কলাপাতায় লবণ বিক্রি করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শমসের আলী। অতএব, আমাদের পরিবেশকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এ প্রথম কলাপাতায় লবণ বিক্রি করে নজর কেড়েছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শমসের আলী। তার এমন অভিনব উদ্যোগের প্রশংসা করছেন স্থানীরা। আমরাও তার এমন উদ্যোগকে প্রশংসার দৃষ্টিতেই দেখছি। পরিবেশ রক্ষার্থে ক্ষতিকারক পলিথিন ব্যবহারে নিষিদ্ধের পরেও প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে আমাদের বাজারগুলোতে। তবুও বলা চলে, প্রতিটি হাট-বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতারা অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করেই যাচ্ছে। কিন্তু প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যতিক্রম উদ্যোগ আমাদেরকে সাহস ও উৎসাহের সাথে উপায় দেখিয়ে দেন। তিনি এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো ১ কেজির লবণের প্যাকেট তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। তিনি কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো এক কেজি লবণের প্যাকেট তৈরি করে দোকানে সাজিয়ে রাখেন; পরে ক্রেতারা তা কিনে নিয়ে যায়। অনেকেই তার এই কলাপাতা মোড়ানো লবণের প্যাকেট ও দোকানের ছবি সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যম পোষ্ট করেছেন। আমাদের আরেকটি কথা মনে করিয়ে দেয় যে, পরিবেশ বাঁচাতে হলে আমাদেরকে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়ে অতীতে ফিরে যেতে হবে। অতীতের উদ্যোগগুলো আমাদের গ্রহণ করে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে।
তাছাড়া আরো জানা যায় যে, তিনি সরকারি নির্দেশনার বাধ্য থেকেছেন। তিনি পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের সংবাদে দেখে জানতে পেরেছেন, পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নিজ উদ্যোগে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো এক কেজি লবণের প্যাকেট করে বিক্রি করা শুরু করেন। তিনি জানান, আসলেই পলিথিন খুবই ক্ষতিকর পণ্য। তারপরও এখনো অনেকেই ব্যবহার করছেন। কর্তৃপক্ষ তৎপর হলে পলিথিন ব্যবহার কমে যাবে। অতএব, বাজারে পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব উপায়ে পণ্য বিক্রির উদাহরণ হিসেবে কলার পাতায় লবণের প্যাকেট করে বিক্রি ভালো উদ্যোগ।
এটি সত্যি পরিবেশ বান্ধব। তার অসাধারণ পদ্ধতি দেখে আরও একজন লবণ ব্যবসায়ী কলার পাতায় লবণ বিক্রি করছেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে সকলে যদি এভাবে চিন্তা করে তাহলে পলিথিন বন্ধ হয়ে যাবে। আর এ পদ্ধতিতে ধরে রাখতে সবাই মিলে এগিয়ে আসলে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। কলার পাতা সহজলভ্য, প্রাকৃতিকভাবে এটি পচনশীল এবং পরিবেশবান্ধব, যা পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে।
এরপর আস্তে আস্তে সেটি একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। আসলে আমরা এতদিন জেনেশুনে পলিথিনের ব্যবহার করেছি। বর্তমান সরকার যেহেতু পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আমাদের সবাইকে পরিবেশ-বান্ধব কলা গাছের পাতার পাশাপাশি শট্টির পাতা এবং পাটজাত পণ্যের ব্যবহার করা উচিত। প্রশ্ন হলো, পরিবেশ বাঁচাতে আমরা কী করছি? আমাদেরও উচিত পলিথিন বন্ধে উদ্যোগী হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায় কি?