

মোঃ মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ সংবাদদাতা :
ফরিদগঞ্জে ধান চাষে লাভ কম হওয়ায় কৃষক আগ্রহ হারাতে শুরু করেছে। চলতি মৌসমে রোব আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি দপ্তর জানিয়েছে। উপজেলার সর্বত্র বোর ধানের চারা রোপন চলছে। আগাম রোপা বোর ধানের ক্ষেতগুলো এরই মধ্যে সবুজে সমারোহ হয়ে উঠেছে। ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় কোথাও আগাম আবার কোথাও একটু বিলম্বে চারা রোপন করছে কৃষকরা। চলতি বছর বোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ৮০ কেক্টোর ধার্য্য করা হয়েছে। তন্মধ্যে চলতি সপ্তাহে ১৮শ হেক্টর জমিতে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি দপ্তর নিশ্চিত করেছে।

পৌর এলাকার চরগুলোতে ধানের সাথে মাছ চাষ দির্ঘদিন একসূত্রে গাঁথা হলেও চলতি বছর আশংকাজনক হারে ধান চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে জানাযায়, প্রতিশতক জমিতে এক বছরে মাছ চাষ করলে ১ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। আর এক সিজনে মাছ, আরেক সিজনে ধান চাষ করা হলে লাভ কম হয় । অর্থাৎ অর্ধেক টাকাও পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত ধান চাষে ব্যাপকহারে লোকসান দিতে হচ্ছে।
কৃষকদের মধ্যে রেজু মুন্সী , অহিদ উল্যাহ , নূরুল আমিন , মেন্টুসহ অনেকেই জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের উদাসীনতা ও মাঠ সঠিকভাকে পরিদর্শন ও পরামর্শের অভাবে আমারা ধান চাষ করে সর্বস হারানোর উপক্রম হয়েছে। কৃষি উপ সহকারী (বøক সুপার ভাইজার)গনের দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন কিটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিলে তাতে আরো ক্ষতিই বেশী হয়েছে বলে জানিয়েছে। অর্থাৎ সঠিক ভাবে তদারকী না করার কারণে এখন আর আমরা ধান চাষ করছিনা।
ধান চাষীরা চরগুদাড়া দক্ষিন ও উত্তর ,লামার চর, কলেজের চর, বালু চর , চার রাস্তার মাঝের চর, কাতাইন্নার চর, রাজাপুরের চর, পূর্ব চর, খেরীর চরসহ অনেকগুলো চরে চলতি বছর ধান চাষ বন্ধ করে দিয়ে নিবিড় ভাবে বছর জুড়ে বেশী লাভের আশায় মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কালক্রমে ধান চাষ বিলুপ্তি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে কৃষকরা জানান। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারাতে পারে । এ অঞ্চলে গো খাদ্যের প্রধান উপকরণ হচ্ছে খড়, ধান চাষ বন্ধ হয়ে পড়লে গোবাদি পশু পালনেও বিরুপ প্রভাব পড়ার আশংকা থাকছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কল্লোল কিশোর সরকার জানান, চলতি বোর মৌসমে ৯ হাজার ৮৪ জন কৃষককে (উপসী ও হাইব্্রীড) বোর বীজ ধান সরবরাহ করা হয়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ৮০ হেক্টোর ধার্য্য করা হলেও তা ছাড়িয়ে যওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি আরোও জানান, স্বল্প পরিসরে হলেও খাল খনন শুরু হয়েছে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শ আরো জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন। মাছ চাষে অধিক লাভ হওয়ায় ধার চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
