

সরকার তৌহিদ (স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট) :
মঈদুল হাসান ২০২৫ সালে গবেষণা ক্ষেত্রে একুশে পদক লাভ করেছেন। তার রচিত “মূলধারা ‘৭১” গ্রন্থটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তিনি এই সম্মাননা পেয়েছেন।
মঈদুল হাসান একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী লেখক এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি ১৯৩৬ সালের ২৯ জুলাই বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন।পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ গবেষক ও লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।১৯৬০ সালের দিকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সম্পাদকীয় লেখা শুরু করেন, যা তাকে পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ করে দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ-সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের মধ্যে নিয়মিত ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল, যা তাকে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনার নির্ভরযোগ্য সূত্রে পরিণত করে।
তার “মূলধারা ‘৭১” বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে একটি মূল্যবান সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক বিভিন্ন দিক বিশদভাবে তুলে ধরেছেন এবং অনেক অপ্রকাশিত ঘটনা ও উদ্যোগের কথা প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস নিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো:
_উপধারা একাত্তর: (মার্চ-এপ্রিল)
মার্চ থেকে এপ্রিল ১৯৭১ পর্যন্ত সময়ের ঘটনাবলী ও প্রেক্ষাপট নিয়ে এই বইটি রচিত।
_মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথনঃ
এ কে খন্দকার এবং এস আর মীর্জার সাথে যৌথভাবে রচিত এই বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
_মুক্তিযুদ্ধে কসবাঃ
মুক্তিযুদ্ধের সময় কসবা এলাকার ঘটনা ও ইতিহাস নিয়ে এই গ্রন্থটি প্রণীত।
_শব্দের পদ্মফুলঃ
এই বইটি তার অন্যান্য রচনাবলীর মধ্যে অন্যতম।এই বইগুলোতে মঈদুল হাসান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও তথ্যবহুল আলোচনা উপস্থাপন করেছেন।মঈদুল হাসান তার গবেষণা ও লেখালেখির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার রচিত “মূলধারা ‘৭১” গ্রন্থটি মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করে, যা তাকে বিশেষ স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
তার এই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০২৫ সালে গবেষণা ক্ষেত্রে একুশে পদক লাভ করেছেন।
এছাড়াও, ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সাম্মানিক ফেলোশিপ প্রদান করে, যা তার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত।
এই স্বীকৃতিসমূহ তার গবেষণা ও লেখালেখির উচ্চমান এবং বাংলাদেশের ইতিহাস চর্চায় তার অবদানের প্রমাণ বহন করে।
শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
