ইউনানী ও আয়ুর্বেদি চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

নিউজ ডেস্ক :

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে ভুল তথ্য ও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করার অভিযোগ তুলেছে এ খাতের চিকিৎসকেরা।

হোমিও চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘সংস্কার কমিটিতে ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হোমিও চিকিৎসকদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। কারো মতামত না নিয়েও এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে ভুল তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়।

বুধবার বিকেলে ইউনানি আয়ুর্বেদিক গ্রাজুয়েট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আগড্যাব) সভাপতি ডা. মির্জা লুতফর রহমান লিটন ও মহাসচিব ডা. আমিনুল বারী কানন এক সংবাদ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে কমিশনের প্রতিবেদনের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা।

আগড্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্য সংস্কার প্রতিবেদনে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে দেশে প্রচলিত এ্যালপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে সহজলভ্য ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পথ রুদ্ধ করে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার্থে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করা চরম বৈষম্যপূর্ণ। আমরা এই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।’

আগড্যাব নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশে এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে, হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা খাতের কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি। উপরন্তু কমিশন বিভিন্ন অংশীজনের সাথে মতবিনিময় করলেও দেশের স্বাস্থ্য সেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ, ইউনানী আয়ুর্বেদিক বোর্ড, কাউন্সিল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের থেকে মতামত নেননি। যার ফলে স্বাস্থ্য খাতের একটি বিরাট অংশের সঠিক প্রতিফলন এই প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। অধিকন্তু, এ সকল সেক্টর নিয়ে সেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা অনির্ভরযোগ্য ও অসংগতিপূর্ণ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

স্বাস্থ্যসেবায় এই খাতের ভূমিকাকে তুচ্ছ করে দেখানোর উদ্দেশ্যে ভুল এবং তথ্য গোপন করে এই চিকিৎসা খাতগুলোকে অবমূল্যায়ন ও চিকিৎসা শিক্ষা ও সেবা সম্প্রসারণে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলেও জানান আগড্যাব নেতারা।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ৩২৩টি অ্যালোপ্যাথিক, ২৮৬টি ইউনানী, ২০৬টি আয়ুর্বেদিক এবং ৭১টি হোমিওপ্যাথিক ও ৩৯টি হার্বাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলে সত্য যে, বাংলাদেশে এই বিশাল সম্ভাবনাময় খাতকে ব্যবহার করতে পারছেনা। উপরন্তু, বিভিন্ন বিভাগে, দপ্তরে এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলা ও উপেক্ষার শিকার হচ্ছে।

দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে এই খাতের ইতিবাচক সংস্কার ও উদ্যোগের প্রয়োজন বলে জানান তারা। এজন্য সরকারের কাছে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান আগড্যাব নেতারা। (সূত্র দৈনিক আমারদেশ)

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

সোরিয়াসিস হলে কী করবেন?

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শেয়ার করুন

You might like