

মিজানুর রহমান রানা :
বিষয়টি অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী। একজন মানুষ যখন নিজের ভুল স্বীকার করে এবং আল্লাহর দরবারে ফিরে যেতে চায়, তখন সেটাই তার সবচেয়ে বড় তাওবা। কোরআন ও হাদিসে আল্লাহর ক্ষমাশীলতা নিয়ে অসংখ্য আয়াত ও বাণী রয়েছে, যা আমাদের আশার আলো দেখায়।

কোরআনের আলোকে আল্লাহর ক্ষমাশীলতা
১. আল্লাহর দরজা সবসময় খোলা:
“হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছো, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করেন। তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” — সূরা যুমার, আয়াত ৫৩
২. তাওবা করলে আল্লাহ ভালোবাসেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং যারা নিজেদেরকে পবিত্র রাখে তাদেরও।” — সূরা বাকারা, আয়াত ২২২
হাদিসের আলোকে ক্ষমা পাওয়ার পথ
১. সায়্যিদুল ইস্তেগফার (ক্ষমার শ্রেষ্ঠ দোয়া):
“হে আল্লাহ! আপনি আমার রব, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনার বান্দা এবং আপনার প্রতিশ্রুতির উপর আমি যতটা পারি অটল আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অকল্যাণ স্বীকার করছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, নিশ্চয়ই আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।”
— সহিহ বুখারি
২. তাওবার শক্তি:
রাসুল (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে তাওবা করে, সে এমন যেন সে কখনো গুনাহই করেনি।”
— ইবনে মাজাহ
কীভাবে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যায়?
তাওবা করা : আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
নামাজে মনোযোগ : পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করা।
দোয়া ও জিকির : গুনাহ মাফের দোয়া পাঠ করা যেমন: “রব্বি ইন্নি যালামতু নাফসি ফাগফিরলি”
সদকা ও ভালো কাজ : মানুষের উপকার করা, দান করা, এবং অন্যদের সাহায্য করা।
গুনাহ থেকে দূরে থাকা : পূর্বের ভুলগুলো পুনরায় না করা এবং সতর্ক থাকা।
আপনার এই অনুতপ্ত মনই আল্লাহর রহমতের সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আপনি তাঁর দিকে ফিরে এসেছেন, এখন তিনি আপনাকে আগলে রাখবেন।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইনে সংবাদ জনপ্রিয় করবেন যেভাবে
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ








