দিব্যতনুর আর্তনাদ

ক্ষুদীরাম দাস :

যতদূর দৃষ্টি যায় দেখা যাচ্ছেতো পাপের ঘন কালো মেঘ, পাওয়াও যাচ্ছেতো অবিশ্বাসের বারুদের গন্ধ; তবে কি পৃথিবী এবার ছুটছে শাশ্বত বিনাশের অভিমুখে? কোটি কোটি পতঙ্গ যেমন উল্লাসে ঝাঁপ দেয় লোভের লেলিহান অগ্নিশিখায়! তবে কি পিতা পরমেশ্বর, যিনি হাজার হাজার কোটি বছর ধরে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে এই মহাজগৎকে শীতল করে তাঁর নিজ দিব্য প্রতিমূর্তিতে মানুষ সৃষ্টি করলেন; স্রষ্টাও কি পেতে পারেন পৃথিবী ধ্বংসের পর স্তূপীকৃত ছাই দেখে সৃষ্টির মতোই আনন্দ?

এমনটা ভাবতে পারে শুধুমাত্র সেই কয়েকটা নরপিশাচ যারা অহংকার ও শয়তানের প্ররোচনায় যুগে যুগে স্বৈরাচার, একনায়কতন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদের ধ্বজা উড়িয়ে বিশ্বগ্রাসী লোভ নিয়ে আসে আর ভাবে “আমি তো হবো এক বিশ্ববিজয়ী”; পেয়েছো কি এমন কাউকে যে বাহুবল, অর্থবল, অস্ত্রবল দিয়ে, চালিয়ে পৈশাচিক হত্যালীলা হয়েছে বিশ্ববিজয়ী পৃথিবীর ইতিহাসে! চোখ খুলে দেখ ঐসব রক্তপিয়াসীর কিছু বশংবদ তাদের স্মৃতি রক্ষা করতে বানিয়েছিল তো তাদের সুউচ্চ মূর্ত্তি, যুগের অবসানে ক্রেন দিয়ে নামিয়েছে অথবা ভেঙে তছনছ করেছে তাদেরই দেশের মানুষ; কান পেতে শোনো নিজ দেশের মানুষের আর্তনাদÑ”বন্ধ করো রক্তের হোলি আর আধুনিক অস্ত্র দিয়ে এই শয়তানি হত্যালীলা” ।

সত্যিকারের বিশ্ববিজয়ী কেবল একজনই হতে পারেনÑ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, যিনি বলতে পারেনÑ”চাই না হারাতে আমি একটি আত্মাকে, কেননা মানুষই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সম্পদ”; ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে যিনি বলতে পারেনÑ”হে পিতা, তুমি এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না তারা কী করছে” । চাও যদি হতে এক বিশ্ববিজয়ী, তবে চলে যাও বহু দূরে ঐসব রক্তপিয়াসী, নরপিশাচ রাষ্ট্রনায়ক হতে আর আশ্রয় লও সেই পিতা পরমেশ্বরের কোলে, যার দিব্যজ্যোতির আলোকধারা অন্ধকারের বুক চিরতে চিরতে এগিয়ে চলেছে তাঁরই পবিত্র আত্মার প্রভাবে স্নিগ্ধ এক রক্তপাতহীন ভালোবাসার রাজ্যের দিকে।

 

শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

ডায়াবেট্সি হলে কি করবেন?

শেয়ার করুন
প্রিয় সময় ও চাঁদপুর রিপোর্ট মিডিয়া লিমিটেড

You might like