

বিপুল চন্দ্র রায়

তিস্তার রিক্ততা আজ স্রোতস্বিনীর বিদ্রূপ,
ঊষর বালুচরে জাগে নাব্যতার ক্রূর প্রলাপ।
উজানের নিষ্পেষণে শৈবাল-সম জীবন,
প্রবঞ্চনার আবর্তে পারাপার হয় নিধন।
কোথায় সে স্রোতস্বিনী উচ্ছল বারিধারা?
নদীর শ্মশানভূমে চর জাগে দিশেহারা।
জাগো বাহে জাগো! এ কোন মরীচিকা?
প্রাতরাশে পান করি তৃষ্ণার তীব্র শিখা!
আবর্তিত হয় কাল রুক্ষতার প্রান্তরে,
কৃষকের আর্তনাদ মরুভূমির ঝঙ্কারে।
প্রজ্বলিত হোক চিত্তে প্রতিরোধের মশাল,
তস্করের হস্তক্ষেপে নিয়তির করাল জাল।
প্রলয়ের আহ্বানে দুর্বার হোক গতি,
শোষণের পাঁজর ভাঙুক আসুক নিয়তি।
তিস্তার পাড়ের মানুষ,জাগো বাহে জাগো!
ফেনিল জলস্রোত অক্ষুণ্ণ রাখি দাবি।
তিস্তার বালুচরে অঙ্কুরিত হোক আশা,
বিপ্লবের বহ্নিশিখা মুছে দিক সর্বনাশা।
ভৈরবী সংকল্পে দুর্বিনীত অধিকার চাই,
তিস্তায় জল ন্যায্য পাই, প্রাণের দাবি জানাই।
উদ্বেল জনতার কণ্ঠস্বর গর্জে উঠুক,
অবিচল শপথে অন্যায়ের ভিত্তি টুটুক।
জাগো বাহে জাগো! সংশপ্তক হও সবে,
তিস্তার মুক্তি হোক জলরাশির মহোৎসবে।
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫











