হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, কিছু স্মৃতি কিছু কথা (২য় পর্ব)

অধ্যাপক মোজাম্মেল হক চৌধুরী মোহন :

(২য় পর্ব)
১ম পর্বের শেষাংশেই আমি লিখেছিলাম ২য় পর্বে কলেজে আমার যোগদান সম্পর্কে তথ্যমূলক কিছু কথার অবতারনা করব। ৩০শে সেপ্টেম্বর বিকেল বেলা, আনুমানিক সাড়ে তিনটায় আমি হাজীগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে পৌছাই। হাজীগঞ্জ কলেজে এটাই ছিল আমার প্রথম প্রবেশ। অনুমতি নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করার পর তিনি আমাকে বসতে বললেন। প্রাথমিক পরিচয় পর্বের পরে অধ্যক্ষ সাহেব তার একজন কর্মচারীকে ডাকলেন। যাকে পরবর্তীতে মোল্লা নামেই আমরা ডাকতাম। সে ছিল কলেজের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। কলেজ সংলগ্ন তার একটি ছোট চায়ের দোকানও ছিল। অধ্যক্ষ সাহেব তাকে চা-বিস্কিটের কথা বলে আমার সাথে দীর্ঘ আলোচনা করতে লাগলেন। কলেজ, কলেজের বর্তমান অবস্থা, তার অতীত ও বর্তমান অবস্থান সহ আরো অনেক কথা। তিনি বাংলা সাহিত্যের মানুষ ছিলেন। স্যারের কথা শুনতে শুনতে তার প্রতি আমার মনের অগোচরে এক গভীর শ্রদ্ধাবোধ তৈরী হয় যা আজও অবিচল রয়েছে। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি আমার বেতন ভাতা সম্পর্কে কিছু বললেন। বেতনের পরিমান এখানে উল্লেখ না ই বা করলাম। উনার প্রস্তাবনার জবাবে দৃঢ় চিত্তে আমি বলেছিলাম, “স্যার, আমি হাজীগঞ্জের সন্তান, আর এই কলেজ হাজীগঞ্জের প্রথম কলেজ। আপনি যদি ছয়মাস আমাকে বিনা বেতনে কাজ করার কথা বলতেন আমি তাতেও সম্মত থাকতাম।” এ কথা বলার সাথে সাথেই উনি এক অট্টহাসি দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে আমাকে জড়িয়ে ধরেন এবং সেই মোল্লাকে দ্বিতীয় দফায় চা দেয়ার কথা বলেন। এ এক পরম স্মৃতি। চা পান শেষে আমি পুনরায় স্যারকে সালাম দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে আসি। পরের দিন আমার যোগদানের তারিখ।

সেদিন ছিল ১লা অক্টোবর, ১৯৭৯। সকাল ১০টায় আমি কলেজে এসে যোগদান পত্র অধ্যক্ষের সমীপে জমা দেই। তিনি তা গ্রহণ করেন এবং আমাকে একটি নিয়োগপত্র প্রদান করেন। এ পর্ব শেষে অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে বেড়িয়ে আমি পাশে অবস্থিত শিক্ষক মিলনায়তনে প্রবেশ করি। প্রবেশ করে দেখতে পাই বেশ কয়েকজন অধ্যাপক সেখানে বসে আছেন। আমি সালাম দিলে তারা আমাকে বসতে বলেন। ঐসময়ের শিক্ষকদের কারো সাথেই আমার পূর্ব পরিচিতি ছিল না। মনের মাঝে একটা শঙ্কাও তখন কাজ করছিল। ঠিক এমনি সময়ে একজন শিক্ষক আমার কাছ থেকে জানতে চাইলেন, আমি আলী নূর চৌধুরীর ছোট ভাই কিনা। আমি হ্যা সূচক জবাব দিলে তিনি বললেন, ” তোমার বড় ভাই এর সাথে আমি বলাখাল হাই স্কুলে লেখাপড়া করেছি। ” তিনি আর কেউ নয়, তিনি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন রতন। একে একে অধ্যাপক শহিদুল্লাহ, রণজিৎ বণিক, বাংলার জহির চৌধুরী এবং গনিতের কালাম সাহেব সহ অন্য যারা ঐ কক্ষে ছিলেন সবার সাথেই আমি পরচিত হই। এক পর্যায়ে অধ্যাপক শহিদুল্লাহ আমাকে ‘প্রফেসর’ সম্বোধন করে বললেন, “চলেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে একটু পরিচিত হবেন।” শ্রেনীকক্ষে গিয়ে দেখি দুজন ছাত্রী এবং জন পাঁচেক ছাত্র। তিনি আমাকে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বেরিয়ে আসার পর আমি উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীদের সাথে দশমিনিট আলোচনা করি। তারপর আমিও বেরিয়ে আসি। উপস্থিত ঐ দুজন ছাত্রীর নাম আজও আমার মনে আছে। একজন মজুমদার বাড়ির মরহুম শামসুল হক মজুমদার সাহেবের মেয়ে মানসুরা বেগম, অন্যজন একই গ্রামের আফরোজা বেগম। ঘন্টাখানেক পরে অধ্যক্ষ সাহেব আমাকে ডেকে পাঠালেন এবং তিনি আমাকে নিয়ে পশ্চিম পার্শস্থ লম্বা টিনের ঘরের একেবারে উত্তর পাশের একটি শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলেন। এটা ছিল প্রথম বর্ষের ক্লাস। যেহেতু অধ্যক্ষ সাহেব ক্লাসে ঢুকেছেন তাই প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের সাথে বানিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরাও ঢুকে পড়ে। ফলে শ্রেনীকক্ষটি ছাত্র ছাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। অধ্যক্ষ সাহেব সকল ছাত্র ছাত্রীকে শৃঙ্খলার সহিত বসার নির্দেশনা দিয়ে উনি ডায়াসে উঠলেন।

ডায়াসে উঠে আমাকেও উঠার আহবান জানালেন। নতুন ক্লাস, অনেক ছাত্র ছাত্রী আবার অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে আমি একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তারপরেও ডায়াসে উঠলাম। অধ্যক্ষ সাহেব বক্তব্য শুরু করলেন এবং এক পর্যায়ে আমার সম্পর্কে বলতে যেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র হিসেবে ঘোষণা করলেন। তখন আমি কিছুটা হলেও বিব্রতবোধ করছিলাম। কারণ আমি সত্যিকার অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র ছিলাম না। ছাত্র ছাত্রীদের সাথে আলোচনা করতে বলে তিনি আমাকে শ্রেনীকক্ষে রেখে বেড়িয়ে গেলেন। কিছুটা ভয় ও শঙ্কার কারণে সেদিন শিক্ষার্থীদের সাথে আমি খুব ভাল আলোচনা করতে পারি নি। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে আমার বেশি সময় লাগে নি। সেদিন বিকেলে সহকর্মীদের সাথে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে আসি। সহকর্মীদের বসার ঠিকানা ছিল ‘গ্রীন লাইব্রেরী’। তাদের সাথে আমিও গ্রীন লাইব্রেরি তে আসি এবং কাদের ভাই এর সাথে পরিচিত হই। কাদের ভাই আমাদেরকে চা পানে আপ্যায়িত করেন।

যোগদানের প্রথম কয়েকদিন আমি বাড়ি থেকে আসা যাওয়া করতাম। বাড়ি থেকে আসা যাওয়া কষ্টসাধ্য হওয়ায় আমি কলেজের শিক্ষকদের অস্থায়ী ঠিকানা হাজীগঞ্জ হাই স্কুলের পূর্ব পাশে কলেজ হোস্টেলে উঠি।আগে থেকেই সেখানে থাকতেন অধ্যাপক শহিদুল্লাহ, অধ্যাপক কালাম ও জহির সাহেব। হোস্টেলের এক কক্ষে চাচা ভাতিজা আর আরেক কক্ষে আমি ও জহির স্যার। পরবর্তীকালে এই হোস্টেলে উঠেন আমার পরে নিয়োগপ্রাপ্ত সুধীর রঞ্জন নাথ ও নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল। এই হোস্টেলে থাকাকালীন সময়ের অনেক স্মৃতির কথা আজও মনে পড়ে। সুধীর বাবু হোস্টেলের ভিতরেই ঐ এলাকার ছিন্নমূল ছেলেমেয়েদের জন্য একটি পাঠশালা খোলেন। তিনি নিয়মিত তাদেরকে পাঠদান করতেন এবং কঠিন শৃঙ্খলে ছিন্নমূলের ছাত্রছাত্রীদের শৃঙ্খলাবোধে আবদ্ধ করেন। এই কাজটি সুধীর বাবুদের মত শিক্ষকদের পক্ষেই সম্ভব। সেই সুধীর বাবু আজ একজন সাধু হিসেবেই হাজীগঞ্জ বাসীর কাছে বিশেষ ভাবে পরিচিত। হোস্টেলটি যেহেতু হাজিগঞ্জ হাইস্কুলের খুব কাছাকাছি তাই এই স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক কাজী বজলুল হক স্যার সহ অনেক শিক্ষকই আমাদের এখানে আসতেন এবং অনেক ব্যাপারেই মত বিনিময় করতেন। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে কাজী স্যারকে আমরা সবাই অত্যন্ত সম্মানের সহিত দেখতাম। টোরাগর গ্রামের অনেক মানুষই আমাদের হোস্টেলে আসতেন এমনকি বয়সে অনেক প্রবীণ আলী আহমেদ মিয়াও আমাদের এখানে আসতেন এবং অনেক গল্প গুজব করতেন। বড় ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। উনার কথা আজও আমার মনে পড়ে। হোস্টেলে যখন অবস্থান করি তখন তো বয়সে আমরা একেবারেই যুবক। অধিকাংশ সময় আমরা পায়ে হেটে বাজার হয়ে কলেজে আসা যাওয়া করতাম। মাঝে মাঝে রিকশায় ও চড়তাম। ছোট বেলায় আখ খাওয়ার প্রতি আমার একটু বেশি লোভ ছিল। কলেজ থেকে ফেরার পথে বাজারের পুলের পশ্চিম পাশ থেকে একটি আখ কিনে সমান দুইভাগ করি।

একভাগ জহির স্যারের হাতে আরেক ভাগ আমার হাতে। বাংলা সাহিত্যের লোক বিধায় আমি তাকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে পরিচিত লোকের সামনে আখ খাওয়া যাবেনা। সে ও বলেছিল, “খাবোনা”। কিন্তু সে তার কথা রাখতে পারে নি। ডাক্তার নজরুল সাহেবের বাসার কাছাকাছি পৌছাতেই আমি লক্ষ করি পূর্ব দিক থেকে কাজী স্যার আসছিলেন। স্যারকে দেখতে পেয়েই আমি আখ খাওয়া বন্ধ করি এবং আখের খন্ডটি হাতে রেখেই হাটতে থাকি। তিনি আমাদের সামনে এসে পৌছালে আমি তাকে সালাম দিই কিন্তু তখন ও জহির স্যারের আখ খাওয়া বন্ধ হয়নি। এই দৃশ্য দেখে কাজী স্যার মুচকি হেসে অগ্রসর হন আর রাগ সামলাতে না পেরে আমি আমার হাতে থাকা আখ দিয়ে জহির স্যারের পিঠে আঘাত করি। সে চিৎকার করে উঠে এবং বলে, ” এটা তুমি কি করলে?” আমি উত্তর দিলাম, “আর তুমি কি করেছ? আখ কেনার সময়ই তো বলেছিলাম যে চলার পথে পরিচিত কারো সামনে আখ খাওয়া যাবে না।” তখন সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং বলে, “আসলেই, এটা ভুল হয়ে গেছে।” সেই প্রিয় জহির স্যার আজ বেঁচে নেই, কিন্তু এই স্মৃতিগুলি স্মৃতির পাতা থেকে কখনো মুছে যাবে না।

আমার যোগদানের এক বছর পরে কলেজে যোগদান করেন মকিমাবাদের সন্তান আবদুর রশিদ মজুমদার। কলেজে যোগদানের প্রথম দিনই আমাদের সাথে পরিচয় ঘটে এবং এমন একটি ঘটনা ঘটে যা আজও আমার মনে পড়ে। তার ও মনে থাকার কথা। রশিদ সাহেব কলেজে প্রথম দিন অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় দস্তখত করে শিক্ষক মিলনায়তনে এসে বসে এবং আমাদের সবার সাথে পরিচিত হন। প্রথম দর্শনেই তাকে আমার ভালো লাগে৷আমাদের খোশগল্পের এক পর্যায়ে রতন সাহেব বলেন, “চৌধুরী, চল চা পান করে আসি।” আমি উপস্থিত সকল শিক্ষকদের নিয়ে সেই মোল্লার দোকানে এসে বসি এবং মোল্লাকে চা-বিস্কিট দিতে বলি। চা পানের পর মোল্লাকে বাকীর খাতায় রশিদ সাহেবের নাম লিখতে বলি। বাকীর খাতায় যারা খেতো তারাই নিজের নামে খরচের হিসাব লিখে যেত। আমি রশিদ সাহেবকে বললাম, “হাজীগঞ্জ কলেজে চাকরি করতে হলে শুধু অধ্যক্ষের কার্যালয়ে রক্ষিত হাজিরা খাতায় দস্তখত দিলেই চলে না,মোল্লার খাতায় নাম উঠাতে হয়।” রশিদ সাহেব অবশ্য সেদিন সুবোধ বালকের মতই চুপচাপ ছিলেন এবং নিজের নাম মোল্লার খাতায় উঠান ও বিল পরিশোধ করেন। যেহেতু মকিমাবাদের ছেলে, বছর না যেতেই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি সে আমাদের সাথে করেছিল। এ এক স্মরণীয় স্মৃতি।

একে একে আমার পরে কলেজে যোগদান করেন জব্বার সাহেব, মোখলেসুর রহমান, স্বপন পাল, বাশার সাহেব, অনিতা পাল, মোরশেদ মজুমদার , আব্দুল হক সাহেব ও আলী আকবর খান। তার কিছুদিন পর যোগদান করেন ইংরেজি বিভাগের মো.সেলিম সাহেব। প্রদর্শক হিসেবে কলেজে সর্বপ্রথম যোগদান করেন শরিফুল ইসলাম ভুইয়া, পরবর্তীকালে নুরুল ইসলাম বিএসসি ও আবুল কালাম আজাদ। লাইব্রেরিয়ান হিসেবে আবু বকর, হিসাব রক্ষক হিসেবে আমার যোগদানের আগেই ছিলেন সুভাষ চন্দ্র সাহা পরবর্তীকালে যোগদান করেন জামাল ভুইয়া ও দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। শেষোক্ত দুজন হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের আমার অতি প্রিয় ছাত্র ছিল। এসময়ে কলেজ অনেক রমরমা অবস্থায় ছিল। আমরাও সবাই দাপটের সহিত চলছিলাম।অধ্যক্ষ সুখলাল বাবুর সময়ে এবং পরে আরো কয়েকজন শিক্ষক এই কলেজে কিছুদিন শিক্ষকতা করে অন্যত্র চলে যান।

তারা হলেন ইংরেজীর আব্দুর রাজ্জাক, পরিমল আচার্য্য, আবুল কাশেম, হিসাব বিজ্ঞানের হরিচাঁদ বৈষ্ণব, পদার্থ বিদ্যার হাবিবুর রহমান, ইংরেজির মকবুল,আকতার, জাকির হোসেন এবং বাহাদুর হোসেন। বাহাদুর হোসেন হাজিগঞ্জ কলেজ থেকে প্রথমে চাঁদপুর মহিলা কলেজ এবং পরবর্তী কালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে সহকারী পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগদান করেন। কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান হেলাল এই কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক ছিলেন। অধ্যক্ষ সুখলাল বাবুর সময়কালে হাজীগঞ্জ কলেজের শিক্ষকদের মাঝে যে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল তা ঐ সময়কার সকল শিক্ষকদের কাছেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ প্রসঙ্গে সুখলাল বাবু মাঝে মাঝে আমাদের সাথে মন্তব্য করতেন হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের মাঝে যে ঐক্য, প্রতিষ্ঠানের প্রতি শিক্ষকদের যে দরদ এই ধারা অব্যাহত থাকলে হাজীগঞ্জ কলেজ অবশ্যই তার অভীষ্ট্য লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে। কিন্তু সেই প্রিয় অধ্যক্ষ এই মন্তব্যের পরে আর বেশিদিন বেঁচে ছিলেন না। সুস্থ অবস্থায় স্ট্রোক করে তিনি পরলোকগমন করেন। তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা হতবাক হয়ে যাই এবং মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ায় কলেজের অগ্রযাত্রা কিছুটা স্থবির হয়। কিন্তু অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন রতন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে কলেজকে আবার গতিশীল করতে সক্ষম হয়। সহকর্মী হিসেবে সকল শিক্ষকগন তাদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে পূর্ণ সহযোগীতা করায় তার পক্ষে কলেজকে চালিয়ে নিতে তেমন বেগ পেতে হয় না। (চলবে)