বিকাশ প্রতারণা! জাতির ভবিষ্যৎ কী?

সম্পাদকীয়…

পরিস্থিতি যদি এমন হয়, তাহলে বিশ্বাসের জায়গাটা দুর্বল হয়ে যাবে। আর বিশ্বাসের জায়গা দুর্বল হলে মানুষের প্রশ্নের পর প্রশ্ন সৃষ্টি হবেই। অথচ বিকাশের পিন নম্বরটি গোপন রাখার জন্যে প্রত্যেক গ্রাহককে সতর্ক করা বারংবার। তবুও এই নম্বর নম্বরটি মানুষ কোন বিশ্বাসে মানুষের কাছে জানিয়ে দেয় সেটাই বড় প্রশ্ন!

প্রিয় সময়ে ‘বিকাশ প্রতারণায় গ্রেপ্তার রাজবাড়ির প্রতারক সেলিম’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম কীভাবে অভিনবভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। অবশ্য তাকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, ‘প্রায় দেড় বছর আগে বিকাশে প্রতারণার শিকার হন রাজশাহী কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন বিশ্বাস। এ বিষয়ে তিনি রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দেন ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর। ওই প্রতারণার মামলায় বিকাশ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. সেলিম মিয়া (২৬)। তিনি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার পশ্চিম মৌকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মো. ইদ্রিস মিয়া ছেলে।

 সম্প্রতি সেলিমকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকাশ প্রতারণা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম।’ আমরা মনে করি, কোর্টের আইনজীবী অবশ্য সচেতন ব্যক্তি বটে। তিনিও প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গেলেন, তাহলে একজন সাধারণ মানুষ তো এধরনের প্রতারণা ফাঁদ বুঝতেই পারবেন না, এটা স্বাভাবিক।

তবে আমাদের সকলের সাবধান থাকাটা খুবই জরুরী। বিকাশের বিষয়ে পরিচিত কিংম্বা অপরিচিত কারো কাছে গোপন নাম্বারটি না বলাই ভালো। কেননা কে কখন অবিশ^স্ততার মতো কাজ করবে আমরা কেউই বলতে পারি না। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এখানে প্রতারক ব্যক্তিটি কৌশল খাটিয়ে সমস্ত তথ্য আদায় করেছেন এবং পিন নম্বরও জেনে নিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, ‘সালাউদ্দিন বিশ্বাসের কাছে তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট তথ্য ভুলের কারণে বন্ধ হয়ে যাবে বলে কৌশলে অন্যান্য তথ্যসহ পিন নম্বর জেনে নিয়ে নেন প্রতারক সেলিম। এভাবে তিনি প্রতারণামূলকভাবে ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে সালাউদ্দিন বুঝতে পারেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। পরে তিনি প্রতারণার মামলাটি করেন।’ সুতরাং এ সমস্ত ঘটনা আমাদের আরো সতর্কতার সাথে চলতে আহŸান করে। সেই সাথে এটা আরো ভালো কাজ হয়েছে যে, প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করাটা। অন্যথায় প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে অনেকে তাদের কষ্টার্জিত টাকা খোয়াতেন।

এ সমস্ত প্রতারক থেকে আমাদের সাবধান থাকাটা খুবই জরুরী। সেই সাথে প্রতারকদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার জন্যে সহযোগিতাও করা দরকার আছে। তাহলে প্রতারক চক্র এভাবে প্রতারণা করার সাহস পাবে না।