নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং করছেন মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার

মনপুরা ভোলা প্রতিনিধি :

মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন বাজারের নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম। সরকারের বেধে দেওয়া মূল্যে পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করা হচ্ছে কিনা তা সরজমিনে মনিটরিং করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার উপজেলার প্রধান বাজার হাজির হাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ও কাঁচামাল বিক্রয় ব্যবসায়ীদের দোকানে গিয়ে মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

মনিটরিং করার সময় কোথাও ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্ধারিত মূল্যে পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করতে দেখা যায়নি। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্যে পন্য বিক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। কোন মুদি দোকানে পন্যের বিক্রয় মূল্য তালিকার চার্ট টানানো হয়নি। মনিটরিং শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকল ব্যবসায়ীদের সরকারের নির্ধারিত মূল্যে পন্য বিক্রয় করার নির্দেশ দেন। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পন্য বিক্রয় করার অভিযোগ পেলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে সর্তক করেন।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তারা আড়ত থেকে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পন্য ক্রয় করে আনেন। এই জন্য তারা বাধ্য হয়ে বেশি দামে পন্য বিক্রয় করেন। আড়তে (গুদামে) দাম কমলে তারাও কম দামে পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। এই জন্য সরকার আগে আড়ত (গুদাম) পাইকারি (ব্যবসায়ীদের) বিক্রয়কারীদের মনিটরিং করার দাবী করেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসর জহিরুল ইসলাম বলেন, সরকার এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। আড়ত (গুদামে) মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রয় না করে নির্ধারিত মূল্যে পন্য বিক্রয় করার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পন্য বিক্রয় করার অভিযোগ পেলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। উপজেলার প্রতিটি বাজারে মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

উরল্লখ্য বাজারের প্রতিটি দেকানে আলু বিক্রয় হচ্ছে ৪৫টাকা, ডিম ১হালি(৪টি) ৫৫টাকা পেয়াজ ৮০/৯০টাকা ।