পঞ্চগড়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিজয় দিবস উদযাপিত

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ে যথাযোগ্য মর্যাদা মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা হয়েছে।

পরে জেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পরেই জেলা ও দায়রা জজ, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান ভুইয় মুক্তা, আওয়ামী লীগ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, জেলা বিএনপি, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশ জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস, রোভার স্কাউটস, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্লস গাইড ও শিশু-কিশোর সংগঠনের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। এসময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। সাড়ে ১১ টায় পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়াও বাদ যোহর বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির, শান্তি, সম্মৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি হাসপাতাল জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবারে দুপুরে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

বিকেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন বনাম পঞ্চগড় পৌরসভা একাদশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বনাম প্রবীণ হিতৈষী সংঘ একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় সরকারি অডিটোরিয়ামে মহান বিজয় দিবস লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা তথ্য অফিস বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।