সপ্তাহ জুড়ে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

সপ্তাহ জুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপট উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পৌষের শেষে মাঘের দাপট শুরু হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এ জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। রবিবার (১৪ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ভোর ৬টায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।

সকালে রিক্সাচালক বেলাল বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি। রিক্সা না চালালে পেটে ভাত জুটবে না। তাই বাধ্য হয়ে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি। সারাদিন কুয়াশা রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা।

রাজমিস্ত্রি শ্রমিক সাদ্দাম বলেন, কুয়াশা থাকলেও করার কিছু নাই ভাই। আমরা গরিব মানুষ। ঠান্ডায় তো পেটে ভাত দেবে না। গত দুদিন ধরে কাজ করতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই কাজে বেরিয়েছি। কাজ করলে পেটে ভাত জুটে।

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। গতকাল বিকালে সূর্য দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকাল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।