নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের দেয়া পরামর্শ না মানলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
শুক্রবার বিকেলে অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসবেন তারা ঘরের বাইরে যাবেন না। কারও সঙ্গে মিশবেন না। বিদেশফেরত ব্যক্তিরা অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আরও ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদের মধ্যে একজন নারী, দুজন পুরুষ। নারীর বয়স ৩০ বছর। পুরুষ একজনের বয়স ৩০। আরেকজনের বয়স ৭০, তিনি আইসিইউতে আছেন ক্রিটিক্যাল অবস্থায়। এছাড়া অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন তিনি। একজন ইতালিফেরত। আর দু’জন প্রবাসীর সংস্পর্শে থেকে আক্রান্ত হন। এখন পর্যন্ত দেশে আইসোলশনে আছেন ৩০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৪ জন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, কুর্মিটোলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যে দুজন মারা গেছেন, তাদের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে, অর্থাৎ তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না।
করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকতে নাগরিকদের করণীয় তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে কেউ এলে তাকে নিজের ও পরিবারের স্বার্থেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহ্বান জানান।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০ হাজার ৪৮ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৮ হাজার ৪৩৭ জন।
বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন একজন।
করোনার বিস্তাররোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। এমনকি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে।