নিউজ ডেস্ক :
সারা দেশের মানুষ করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন। এরমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দেশের মানুষের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্থির খবর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমনটা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জানতে পেরেছি আইনমন্ত্রী একটা প্রেস ব্রিফিং করে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ৪০১ ধারায় এবং বয়সের কথা বিবেচনা করে ৬ মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর সেটা শর্তসাপেক্ষে। শর্ত হচ্ছে তাকে বাসায় থাকতে হবে এবং দেশে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এটুকুই আমরা এখন পর্যন্ত জানি। এখন স্থায়ী কমিটির নেতারা বৈঠক করবেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে যুক্ত হবেন এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলে আমরা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে যেটা আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে- সেজন্য আমি আমাদের দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান থাকবে আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন এবং যাতে কেউ আক্রান্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সারা দেশের মানুষের উদ্বিগ্ন হয়েছিল। এর জন্য হলেও তারা কিছুটা স্বস্তি পাবেন যে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন এবং চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু তিনি যেহেতু বাইরে চিকিৎসা করতে পারবেন না, তাই এ বিষয়টা নিয়ে আমরা অনেকটা চিন্তিত।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক ভাবছেন কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে এ সিদ্ধান্তকে আমাদের ভালো করে দেখতে হবে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তারপর বলতে পারবো।
খালেদা জিয়ার মুক্তি জাতীয় ঐক্যের কোনো কাজে আসবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এটার কোনো কারণ দেখছি না। জাতীয় ঐক্যের জন্য আমরা বরাবর বলে আসছি, কিন্তু সরকার কোনো সাড়া দেয়নি। শর্তসাপেক্ষে মুক্তির বিষয়টা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটা আমরা আলোচনা সাপেক্ষে জানতে পারবো।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন।
বিশ্বজুড়ে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে করোনাভাইরাসে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সেজন্য ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপি।