নবীগঞ্জে নিম্নআয়ের মানুষের খাদ্যসামগ্রী বিতরণে অনিয়ম

দিপু আহমেদ, নবীগঞ্জ :

গোটা বিশ্ব এখন স্তব্ধ। করোনা নামক একটি সংক্রমন ব্যধির কাছে জিম্মি সারা পৃথিবীর মানুষ। চীনের উহান প্রদেশ থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দুনিয়াতে। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু বন্ধ ইতোমধ্যে লক ডাউন সারা দেশ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দোকান,ওশুধের দোকান ছাড়া দোকানপাট, হাটবাজার সবকিছু বন্ধ এই যখন দেশের পরিস্থিতি নিম্ন আয়ের মানুষের নেই কোন রুটি রুজির পথ,তখন সরকারের পক্ষ থেকে নিম্নয়ায়ের মানুষ এর জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে নবীগঞ্জ প্রশাসন এতে নিম্নয়ায়ের মানুষ কিছুটা আশার আলো দেখতে পায় দুবেলা, দুমোঠো ভাত খেয়ে তো বাচা যাবে এই আশায়।

নবীগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে। গতকাল ২৮ মার্চ শনিবার রাতে নবীগঞ্জ পৌরসভায় দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল।

gif maker

ইউএনও জানান, সরকারের বিশেষ বরাদ্দ থেকে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৪শ নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার রাতে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১০ কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, আধা লিটার তৈল, আধা কেজি পেয়াজ, ৫০০গ্রাম সাবানসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। জন সমাগম এড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

ইউএনও আরো জানান সোমবারের মধ্যে প্রতিটা ইউনিয়নে খাদ্যসামগ্রী পৌছে যাবে, তার ধারাবাহিতায় আজ ২৯ মার্চ ২নং পূর্ব বড় ভাকৈর ইউনিয়নে এর নিম্নয়ায়ের মানুষ এর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলে ও এতে অনিয়ম এর খবর পাওয়া যায়। অনিয়মের সত্যতা যাচাই করতে নিম্নয়ায়ের মানুষদের সাথে কথা বলে এবং সচক্ষে যা দেখা যায়, নাম বলতে অনিচ্ছুক কেউ পেয়েছেন ৩কেজি চাল,শুধু সাবান,কেউবা পেয়েছেন ৯ কেজি চাল, ১টা সাবান, আবার কারো বস্তায় দেখা গেছে চাল, ডাল, পিয়াজ, সাবান, তৈল সবকিছুই আছে, এই অবস্থা দেখে যারা পেয়েছেন তারা নিজেও হতভম্ভ।

এই খাদ্যসামগ্রী যারা বিতরণ করেছেন তাদের জিজ্ঞেস করা হলে শুধু চাল সাবান কেন দেওয়া হচ্ছে, বিতরণকারীরা জানান পরবর্তীতে দেওয়া হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে গোজাখাইড় গ্রামে একই রকম বিতরণ করা হয়েছে ভয়ে নাম বলতে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানান। তারা ইতোমধ্যে চাল, সাবানের ছবি তুলেও পাঠিয়েছেন।

তাদের দাবি নিম্নআয়ের মানুষ এর জন্য নবীগঞ্জ পৌরসভার জন্য কি আলাদা বরাদ্ধ আর ইউনিয়নের জন্য কি আলাদা বরাদ্ধ এটা স্পষ্ট করা প্রয়োজন।

ইউনিয়নে শুধু চাল, আর সাবান দেওয়া হচ্ছে। একেক জনের খাদ্যসামগ্রীর বস্তায় ভিন্ন রকম খাদ্য সামগ্রী কেন এটা নিয়ে তাদের মনে নানান প্রশ্ন।

তারা আরো জানান, পৌরসভায় দেখলাম, ১০ কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, আধা লিটার তৈল, আধা কেজি পেয়াজ, ৫০০ গ্রাম সাবান। এই পার্থক্যটা কেন? বিতরণে পার্থক্য কেন? তাদের মনে এই প্রশ্ন।