ক্যানসার আক্রান্ত ৮০ শতাংশ শিশুই চিকিৎসায় সুস্থ হয়

দেশে প্রতিবছর ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। জিনগত পরিবর্তন ছাড়াও ভেজাল খাদ্য, খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, বায়ুদূষণ ও বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ন শিশুদের ক্যানসার ঝুঁকিতে ফেলছে। এরমধ্যে ব্লাড ক্যানসারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে নাসিকাগ্রন্থি, কিডনি ও চোখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বেশিরভাগ শিশুর ক্যানসার নিরাময়যোগ্য। এক্ষেত্রে শুরুতে শনাক্ত করা গেলে এবং প্রথম অবস্থাতেই উন্নত চিকিৎসা পেলে ৮০ শতাংশ রোগী সেরে ওঠে।

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পেডিয়েট্রিক হেমাটোলোজি অনকোলজি বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের ৩০টি বেডেই ভর্তি আছে ক্যানসার আক্রান্ত শিশু। বেড না পাওয়ায় বিভাগের মেঝেতেও শুইয়ে রাখা হয়েছে অনেক শিশুকে।

মেঝেতে শুয়ে থাকা শিশুদের একজন সানজিদা। বয়স আড়াই বছর। ক্যানসারে আক্রান্ত সানজিদা প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয়। সাধারণ জ্বর ভেবে বাবা-মা ফামের্সি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ান। কিন্তু থেমে থেমে আবারও জ্বর আসে। কদিন যেতে না যেতেই গলার নিচের অংশ ফুলে যায়। অবশেষে চিকিৎসকের কাছে যান তার মা শিমু আক্তার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্থানীয় চিকিৎসক পরামর্শ দেন ঢাকায় আসার। ঢাকায় আরেক দফা পরীক্ষা করিয়ে শনাক্ত হয় সানজিদা ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। এরই মধ্যে মেয়ের চিকিৎসায় দেড় মাসে দুই লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে জানান শিমু আক্তার।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিচ্ছে সাত বছরের শিশু ইমাদ ইয়াসিন আরাফ। প্রথম অবস্থায় তিন বছর বয়সে হঠাৎ জ্বর এসেছিল। এরপর দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। ধীরে ধীরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ক্যানসার ধরা পড়ে। ইমাদের মা নিপু আক্তার জাগো নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছেলের চিকিৎসা করাচ্ছেন। চিকিৎসক ভরসা দিচ্ছেন, ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে। তবে এজন্য আরও দুই বছর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

দেশের শিশু ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের চিকিৎসাসেবায় শিশুদের ক্যানসার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নির্মূল হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়নি। এখনো অনেকে ঝাড়ফুঁক বা কবিরাজি চিকিৎসায় নির্ভর করেন। কেউ কেউ আবার হোমিওপ্যাথি ওষুধের ওপর নির্ভর করে বসে থাকেন। কিন্তু প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা নিলে ৯৫ শতাংশ ক্যানসার নির্মূল করা সম্ভব।

তাদের মতে, শিশুদের ক্যানসার শনাক্তের হার বাড়লেও সে অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও কম। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৫০ জনের মতো ক্যানসার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। অভিজ্ঞ নার্স ও টেকনিশিয়ান এবং ঢাকার বাইরে শিশু ক্যানসার চিকিৎসাসেবা এখনো অপ্রতুল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ক্যানসারে শিশুমৃত্যুর হার কমাতে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুদের ক্যানসারে আক্রান্তের হার ৬০ ভাগ কমিয়ে আনতে হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে শিশু ক্যানসার রোগীদের যথাযথ পরিসংখ্যান রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই।

ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যানসারের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর দুই লাখ শিশু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেই আক্রান্ত হয় শতকরা ৮০ ভাগ। এখানে ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের বেঁচে থাকার হার মাত্র ৫ ভাগ। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোয় বেঁচে থাকার এ হার শতকরা ৮০ ভাগ।

সংস্থাটির তথ্য মতে, বর্তমানে ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ লাখ ক্যানসার আক্রান্ত শিশু রয়েছে। ২০০৫ সালেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শিশুমৃত্যুর হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর সচেতন না হলে ২০৩০ সালে এ হার দাঁড়াবে ১৩ শতাংশে।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৪ হাজার ৫২৬ জন রোগীর ওপরে জরিপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগ। এতে দেখা যায়, ৩ হাজার ৬৫০ জন অর্থাৎ ৮০ শতাংশ শিশু ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। টিউমারজনিত ক্যানসারে আক্রান্ত ৩৫৩ জন বা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যানসারে আক্রান্ত ৫২৩ জন বা ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিশু হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ টি এম আতিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, দেশে প্রতিবছর কত শিশু ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে এর পূর্ণাঙ্গ কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ২০২১ সালে বিএসএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে রোগীদের ওপর এটা জরিপ হয়। এর ভিত্তিতে ধারণা করা হয়, বছরে ৬ থেকে ৮ হাজার শিশু বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বড়দের মতো শিশুদের সব ধরনের ক্যানসার হতে পারে। তবে বেশি হচ্ছে লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যানসার। এছাড়া ব্রেইন টিউমার, চোখের টিউমার, যকৃতের টিউমার, কিডনির টিউমার, হাড়ের টিউমার ও মাংসপেশীর টিউমারও হতে দেখা যাচ্ছে।

ডা. আতিকুর আরও বলেন, আমাদের দেশে শিশুদের ক্যানসার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের চিকিৎসকরা মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারেনি। ফলে এখনো অনেকে চিকিৎসা নিতে আসে না। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৬০ ভাগ রোগী চিকিৎসা নেয়। এরমধ্যে ৭০-৮০ ভাগ ভালো হয়ে যায়। ৪০ ভাগ রোগী চিকিৎসা নেয় না। এর কারণ আস্থার সংকট। তারা মনে করেন, ক্যানসারের চিকিৎসা করে লাভ নেই। এটা নিরাময় হবে না। এক্ষেত্রে তারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বেশি গুরুত্ব দেয়। অনেকে কবিরাজের দ্বারস্থ হয়। এক পর্যায়ে এসব রোগী খুবই খারাপ অবস্থায় চলে যায়। শেষ পর্যায়ে তারা ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু তখন তাদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে মাত্র ১০-১৫ শতাংশ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ক্যানসার তুলনামুলক কম হয়ে থাকে। দেশে মেডিকেল অনকোলোজিস্টের সংখ্যা কম। তবে বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ পদ তৈরি হয়েছে। কিছু জায়গায় পদায়নও হয়েছে। বিএসএমএমইউতে বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ জন ক্যানসার রোগী শনাক্ত হয়ে থাকে। যাদের অধিকংশই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্যানসারের আধুনিক চিকিৎসা থাকলেও এটি এখনো শহরমুখী। চিকিৎসার ডিসেন্ট্রালাইজেশন (বিকেন্দ্রীকরণ) করা গেলে চাপ কমবে। তাছাড়া ক্যানসার চিকিৎসার মূল প্রতিবন্ধকতা রোগীদের আর্থিক সমস্যা। এতে অনেক রোগী মাঝপথে চিকিৎসা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসা ভোগান্তি কমাতে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহ মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর বলেন, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটে শিশুদের জন্য হাসপাতালে ৪০টি শয্যা রয়েছে। গত এক বছরে নতুন-পুরোনোসহ এক হাজার ৩০০ এর বেশি শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। ক্যানসারের ধরন ভেদে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়। তবে শিশুদের ক্যানসার হলে অনেকে শুরুতে বুঝতে পারে না। অনেকে বিশ্বাসও করতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, দেশের আটটি বিভাগীয় পুরোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবার কমবেশি ব্যবস্থা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। শিশু ক্যানসার বিষয়ে গণমাধ্যমসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে জনসচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে হবে।

শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার

পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।

অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।

কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।

হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।

কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।

শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-

১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।

২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।

৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।

এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।

কারণগুলি কি কি হতে পারে ?

প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-

১. ডায়াবেটিস,

২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,

৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,

৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।

তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।

আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।

এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।

কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।

এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।

আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।

সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।

মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।

কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।

বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।

যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :

১. সহ/বাসে অসমার্থতা।

২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।

৩. অসময়ে বী/র্যপাত।

৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।

৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।

৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।

৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।

ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান 

(ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন: (চিকিৎসক)

01762-240650

(সকাল দশটা থেকে রাত্র দশটা। নামাজের সময় কল দিবেন না।)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়