মতলব দক্ষিণে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ

হারুন অর রশিদ, মতলব উত্তর প্রতিনিধি :

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নে নিবন্ধনকৃত জেলেদের নামে আসা চাল বিতরণে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, গত মার্চ মাসে ওই ইউনিয়নের বরাদ্ধকৃত ৩৭১ জন্য জেলেদের নামে চাল আসে কিন্তু চেয়ারম্যান সৈয়দ মন্জূর হোসেন (রিপন মীর) তথ্যটি গোপন করে ৩২৫ জন্য জেলেদের চাল আসার কথা বলে ওয়ার্ড মেম্বারদেরকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলার ঘিলাতলি গ্রামের মৃত হানিফ সরকারের ছেলে মোঃ সোলেমান সরকার জেলা পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মতলব দক্ষিণ থানা ইনচার্জ এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।

এর আগে ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড সদস্যদের সাথে উপজেলার নারায়নপুর সাহেব বাজার মসজিদ সংলগ্নে এ বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তাদের দেখে নেওয়ার কথা বললে ইউপি সদস্যরা এ অভিযোগ দায়ের করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একদিকে সারা পৃথিবীতে মহামারী করোনা ভাইরাস, অন্যদিকে ঝাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ এবং দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত নিবন্ধনকৃত জেলেদের ক্ষুধা নিবারণে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ সকল দরিদ্র জেলেদের জন্য নিবন্ধন করে প্রত্যেক বছরই অনুদান দিয়ে আসছেন।

মহামারী করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে সরকারের সুনাম নষ্ট করার জন্য এবং চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য জনাব এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুলের ও আওয়ামীলিগের ভাব ভঙ্গি নষ্ট করার জন্য এ ইউপি চেয়ারম্যান সাধারণ জেলেদের সাথে প্রতারণা করছে।

ওই ইউনিয়নে ১৩ এপ্রিল জেলেদের জন্য চাল আসলে সেই চাল ৩২৫ জন নিবন্ধনকৃত জেলেদের মাঝে বিতরনণ করা হয়।

পরে ইউপি সদস্যরা মতলব দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারে ৩৭১ জনের চাল আসে। বাকী ৪৬ জনের চাল প্রায় ২ মেঃ টন চাল জেলেদের না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতœসাৎ করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ করে সোলাইমান সরকার।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান সৈয়দ মন্জূর হোসেন (রিপন মীর) মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সকল নিবন্ধনকৃত চাল বিতরণ করেছি কিন্তু আওয়ামীলীগের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রুমা আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৩৭১ জনের মধ্যে ৪০ কেজি করে চাউল দিয়েছি। উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সম্ভব হয়নি।