আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসে ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে গত ১৫ দিন থেকে ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি উন্নতির দিকেই যাচ্ছে। আগামী সোমবার থেকে শর্ত আরোপ করে লকডাউন তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ফ্রান্সে ২৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬ হাজার ২৩০ জন। নতুন আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮৮ জন। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক লাখ ৭৬ হাজার ৭৯ জন। ইতোমধ্যে ৫৫ হাজারেরও বেশি রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
এদিকে আগামী সোমবার থেকে লকডাউন তুলে নেয়ার রূপরেখা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড ফিলিপ। লকডাউন তুলে নেয়া হলেও আপাতত আগের মতো স্বাভাবিক চলাফেরা করার সুযোগ থাকছে না।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন থেকে ঘরের বাইরে বের হতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ১৩৫ ইউরো জরিমানা করা হবে। লকডাউন তুলে নেয়া হলেও রেস্টুরেন্ট, বারসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধই থাকছে। তবে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বন্ধ থাকা সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে লকডাউন তুলে নেয়ার পর ফ্রান্সে ভাইরাসটি আবার সুনামীর মতো ফিরে আসতে পারে বলে মত দিয়েছে দুটি গবেষণা সংস্থা। Public Health Expertise এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বয়স্কদের জন্য পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না থাকায় জুলাই মাসের শেষের দিক থেকে আইসিইউতে রোগীর সংখ্যা আবার উপচে পড়তে পারে। ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যম Le Monde পত্রিকার মতে, সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং সামাজিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও এমন টি হতে পারে।
এদিকে ফ্রান্সের বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় Sorbonne এবং Inserm দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়েছে, ৮ জুনের আগে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ঠিক হবে না। এছাড়া বাসার মধ্যেও দূরত্ব বজায় রাখার পক্ষে তারা মত দিয়েছেন।