করোনা সংকট মোকাবেলায় ছাত্রদল নেতা রিংগনের বিরল দৃষ্টান্ত

দিপু আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :

প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হবিগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড, পাড়ায়, মহল্লায়, অলি-গলিতে কখনও মাস্ক, সাবান, আবার কখনও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ক্লান্তিহীন ছুটে চলছেন জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন ।

কর্মহীন মানুষগুলো যখন চরম অভাব অনটনে হা-হুতাস করছিলো, অধিকাংশ বিত্তবানরা তখন ঝুঁকি এড়াতে নিজেদের আড়াল করে রেখেছিলো।

তখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে অসহায় জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে আটঘাট বেধে মাঠে নেমেছিলেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের ছাত্র নেতা শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন ।

লকডাউনের প্রথমদিকে নিজস্ব অর্থায়নেই মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছিলেন তিনি। কর্মহীনদের হাতে ইফতার সামগ্রীও তুলে দিচ্ছেন তিনি। প্রায় সব কিছুই তিনি প্রকাশ্য থেকে গোপনে করতে পছন্দ করেন।

কখনও ছাত্রদলের ব্যানারে, কখনও জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের ব্যানারে, কখনো ব্যবস্থাপনা বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক হিসাবে, কখনো দেশ বিদেশের বন্ধুদের নিয়ে বড় ফান্ড গঠন করে দাড়িয়েছেন সাময়িক অসুবিদায় থাকা মানুষ গুলোর পাশে। হবিগঞ্জে হাই-টাওয়ার মার্কেটের সত্ত্বাধিকারী হিসাবে প্রায়ই নিজস্ব উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। নিজের সুখ, শান্তি, বিশ্রাম, আরাম, আয়েশ সবই বিসর্জন দিয়েছেন সাধারন মানুষের জন্য। টানা ২ মাস ধরে পরিবার পরিজন ছেড়ে কর্মহীন অসহায় মানুষদের পাশে আছেন। সামনের দিনগুলোতেও পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রতি দিচ্ছেন। দুঃচিন্তা কাটিয়ে নগরবাসীর মুখে স্বস্তির হাসি ফুটিয়েছেন। সাধারন মানুষের কাছে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন ‘ত্রাতার’ ভূমিকায়।

প্রকাশ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি মধ্যেরাতেও নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছেন পরিচয় গোপন রেখে ত্রান নিতে ইচ্ছুক যারা তাদের ঘরে।

এছাড়া সেহেরি নিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী, সাধারন পথচারী, গাড়ির ড্রাইভার কিংবা রাতের পাহারাদারদের পাশে। সাধারন কৃষকের পাশেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন।

ঘুম থেকেই উঠেই খাদ্য সমগ্রী প্যাকিং, বিভিন্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের খবর নেওয়া, সন্ধায় ইফতার নিয়ে একেক সময় একেক স্থানে, সন্ধার পর সেহেরীর প্রস্তুতি ও খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট নিয়ে মানুষের দুয়ারে গোপনে পৌছে যাচ্ছেন।

শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে রোজার আগে ১০০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো পর রোজার ভিতরেরও কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। ঈদকে সামনে রেখে ২৮ রমজান ১০০০ পরিবারের জন্য ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এর প্রস্তুতি চলছে।