ঘূর্ণিঝড় আম্পান : ভোলায় নিহত ২

তাপস কুমার মজুমদার, ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলা একটি দ্বীপ জেলা। এ জেলার চার পাশেই নদী। ১৯৭০ সাল থেকে প্রতটি ঝড়েই এ জেলায় কিছু না কিছু ক্ষতি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সকাল থেকে এখানে প্রচুর বাতাস বইছে এবং নদীর প্রচুর টেউয়ে নদী উত্তাল রয়েছে।

ইতোমধ্যে ঢাল চর, চর নিজামসহ অনেক চরাঞ্চল ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘূর্ণীঝর আম্পানের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশনে ঝড়ে একটি গাছ ভেঙে চাপা পড়ে ছিদ্দিক ফকির (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।


ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার আহমেদ জানান, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বয়স্ক ভাতা নেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন ছিদ্দিক ফকির। এসময় দক্ষিণ আইচা এলাকায় তার ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়।


এছাড়া ভোলার বোরহানউদ্দিনের হাসান ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক জানান, লক্ষীপুর থেকে ট্ররারে করে ভোলায় আসার পথে আলতু মিয়ার ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে ডুবে রফিকুল ইসলাম মারা গেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আশংকায় ভোলার মানুষের মধ্যে চরম অতঙ্ক রয়েছে। ভোলায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। জেলা প্রশাসক জানিয়য়েছেন, ইতোমধ্যে ১১০৪ টি সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। এবং ৯২ টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ভোলার বিচ্ছিন্ন ২১ চরের ৩ লক্ষ ও নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে।

এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা, নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও শিশু খাবারের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘূর্নিঝড় পরবর্তিতেও কাজ করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।