প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার আত্মসাৎ করলো মেহারী ইউনিয়ন ওয়ার্ড মেম্বার পরিবার

মো. রফিকুল ইসলাম (কসবা)  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসহায় পরিবারের মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া ঈদ উপহার আত্মসাৎ করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাস্থ কসবা উপজেলাধীন ২নং মেহারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ-আব্দুল হালিম।

নাম তালিকায় দেখা যায় যে, ১)সাজেদা খাতুন (মেম্বারের সৎমা)-স্বামী আব্দুল আউয়াল। ২)সালমান রহমান(মেম্বারের আপন ভাই)-পিতা আব্দুল আউয়াল ৩)আকলিমা আক্তার (মেম্বারের আপন ভাইয়ের বউ)-স্বামী মমিনুল হক। ৪)কামাল উদ্দিন(মেম্বারের আপন চাচাতো ভাই-পিতা-আব্দুল খালেক)। ৫) খাদিজা আক্তার (চাচতো বোন) পিতা আ. কুদ্দুছ।

অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের টাকা মেম্বারের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে অনিয়ম করে বন্টন করেছে। তালিকায় নাম উল্লেখ করা থাকলেও ওই মেম্বারের গ্রামের অনেকই প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ঈদ উপহারের নগদ আড়াই হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পায়নি বলে অভিযোগ করেছে।

গ্রামের লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মেম্বার বলেছে যে তাদের প্রেরিত একাউন্ট নম্বর ভুল নতুবা চাপ পড়ে টাকা অন্য কোথায় চলে গেছে।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ঘরহীন মানুষের জন্য ঘর উপহার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাইকে দেওয়া হয়েছে।  গ্রামের মানুষদের অভিযোগ ওই ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণ কারা পায় তারা তাও জানেনা। এজন্য গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে অনেক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তার বিরুদ্ধে যতদ্রুত সম্ভব কসবা উপজেলা ও জেলা প্রশাসন স্থানীয় তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

তারা বলেন, এদের বিরুদ্ধে যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এই সরকারি ত্রাণ চোর মেম্বারদের জন্য দেশ ও জাতিকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।

উল্লেখ্য, একই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে গত ১৭-ই জুন উপরোক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়াকে সাময়িক বহিস্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।