যৌতুকের টাকা না দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতন

নিউজ ডেস্ক :

ছয় মাস আগে বিয়ে হয়েছে। এখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তারপরও স্বামীর বাড়িতে ঠাঁই হচ্ছে না গৃহবধূর। দাবিকৃত যৌতুকের পাঁচ লাখ না দেয়ায় তাসলিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাঁচআড়া গ্রামে। বুধবার (১৫ জুলাই) এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।

অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামের তৈজুদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী পাঁচআড়া গ্রামের সিরাজুল মোল্লার ছেলে মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে।

বিয়ের পর গৃহবধূ স্বামীর বাড়িতে যেতে চাইলে বিভিন্ন টালবাহানায় স্বামী তাকে নিয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। গৃহবধূ তাসলিমা তার শ্বশুর বাড়ি যেতে স্বামী শহিদুলকে চাপ দিলে তিনি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের এত বড় অংকের টাকা দিতে না পারায় তাসলিমাকে বাড়িতে নেননি শহিদুল।

এরই মাঝে ওই গৃহবধূ হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা। পরে বাধ্য হয়ে সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে তাসলিমা নিজের স্বামীর বাড়িতে ওঠেন। সেখানে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে।

পরের দিন আবার স্বামীর বাড়িতে গেলে তাকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় স্বামীর পরিবারের লোকজন। পরে তাসলিমার পরিবারের লোকজন তাসলিমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বুধবার সকালে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী শহিদুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যৌতুকের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, তাসলিমা নামে এক গৃহবধূর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।