চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বাড়ছে

সম্পাদকীয়

নৈতিক শিক্ষার অভাব আছে, গ্রাম্য ভাষায় বাদাইম্যা বলা হয় এমন ব্যক্তি, দুষ্টু অলস প্রকৃতির ব্যক্তি, অথবা প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তি ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা সংগ্রহ করে থাকে। হতে পারে তারা কোনো দলের পাতি নেতা, যাদেরকে ডান হাত হিসেবে উপরন্তু নেতৃবর্গ ব্যবহারে করে নিজেদের পকেট ভারী করে জীবন চালায়। এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তারা সৃষ্টিকর্তার স্মরণ করে না ও তাকে ভয় করে না। আর যদি তারা তা করেও থাকে তাহলে সেটা তাদের লোক দেখানো ভÐামী ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রিয় সময়ে ‘হাজীগঞ্জে এক প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমাদের বিস্মিত করেছে। হাজীগঞ্জে ঐ প্রবাসীকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, চাঁদাবাজদের ভয়ে প্রবাসীর পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের সৃদৃষ্টি কামনা করছেন ভূক্তভোগী সেই প্রবাসী ও তার পরিবার।

লকডাউনে আটকে থাকা প্রবাসীকে অনেক দিন ধরেই চাঁদার জন্যে উত্তক্ত করে আসছে চাঁদাবাজরা। ওরা এতটাই দুঃসাহসী ও ক্ষমতার অধিকারী যে, বাড়িতে এসে প্রবাসীর বাড়িতে হানা দেয়। সেসময় সেই প্রবাসী বাড়িতে না থাকায় হুমকি ধমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী জাহিদা বেগমের কাছে একটি কাগজ ও ফোন নাম্বার দিয়ে প্রবাসীকে যোগাযোগ করতে বলে কঠিন দুঃসাহসের পরিচয় দিয়ে গেছে। এতে আমাদের মনে হয়, ওই চাঁদাবাজদের হাত লম্বা। তাদের পিছনে শক্তপোক্ত দুষ্ট চক্রের দল রয়েছে; অন্যথায় তারা এতো বড় সাহস দেখায় কেনো? প্রবাসী তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা মিথ্যা অভিযোগ এনে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে প্রবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েন। এমনকি তাদেরকে প্রায় সময় ফোন করে টাকা না দিলে অপহরণ করা হবে বলে ভয় ভীতি পদর্শন করে আসছে ওই সন্ত্রাসীরা।

আমরা মনে করি, আমাদের সমাজে এ ধরনের চাঁদাবাজির মতো জঘন্য হীন কাজ না হোক। এভাবে চলতে থাকলে সমাজে অন্যায়কারী দিনে দিনে বেড়ে যাবে। আমরা হারাবো আমাদের সুন্দর সমাজের চিত্র। দুষ্টতায় ভরে যাবে আমাদের সমাজ, আমরা নিকৃষ্ট জীবন নিয়ে আর বাঁচতে চাই না। আমরা ভয়ের সাথে থাকতে চাই না। আমরা আনন্দের সাথে সবাইকে নিয়ে সুখে ও শান্তিতে থাকতে চাই। সুতরাং ওই দুঃখী ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা পরিবারটিকে সুরক্ষার প্রতি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।