নাগরিকরা সচেতন থাকলে অসাধুরা এগিয়ে যেতে পারবে না

সম্পাদকীয়

ব্যস্ত সড়কে ড্রেজার পাইপ বসানো আইনসম্মত নয়-এটা সকলেই জানেন। তবুও আমরা প্রায়ই দেখি কিছু ব্যবসায়ী এভাবেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। তারা আইন অমান্য করে রাস্তার উপর দিয়ে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে দেন। আর এটি চলতে থাকে দিনের পর দিন, এমনটি মাস বছর পর্যন্তও।

ব্যস্ত সড়কে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করে। এতে করে সেই যানবাহনের যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়, তেমনি দুর্ঘটনা ঘটে যায় প্রতিনিয়ত।

প্রিয় সময়ে ‘দোহারে রাস্তা থেকে ড্রেজার পাইপ অপসারণ করলো উপজেলা প্রশাসন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা দাপুটে ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যাদের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সেই ড্রেজার পাইপ অপসারণ করলেন।

আমরা প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, অনেকদিন যাবত রাস্তার উপর ড্রেজার পাইপ বসিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কথিত সেই ব্যবসায়ী। এতে করে যানবাহন চলাচলে দারুণভাবে বিঘœ ঘটে। এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে অভিযোগ করেছেন এবং তাদের অভিযোগের কারণে প্রশাসন ড্রেজারের পাইপ অপসারন করেন ও ড্রেজার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করলেন। আমরা বুঝতে পারছি যে, ওই এলাকার মানুষজন দারুণ সচেতন, তাদের মধ্যে সচেতনতা কাজ করেছে। ফলে তাদের অভিযোগ করার পদ্ধতি জানে ও কোন বিষয়ের জন্যে কীভাবে, কার কাছে অভিযোগ জানাতে হয় সেটা তাদের জানা আছে। কিন্তু আমাদের দেশের এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যাদের এভাবে অভিযোগ করার মতো চেতনা নেই। ফলে ধুর্ত মানুষ এভাবেই তাদের দাপট চালিয়ে যান। এতে এলাকার মানুষের ক্ষতি হলেও তারা অভিযোগ করার জায়গা খুঁজে পান না, এবং নীরবে সব কিছু সহ্য করে যান।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা আরো জানতে পেরেছি যে, ওই ড্রেজারের পাইপের কারণে সেখানে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেছিলো। এই ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ড্রেজার পাইপ মালিককে রাস্তা থেকে পাইপ সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও পাইপ সরোনো হয়নি। এরপর দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে ড্রেজার পাইপ সরানোর পাশাপাশি দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এতে এলাকাবাসী তাদের অভিযোগের প্রতিউত্তরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আমরা বলতে চাই যে, দেশের নাগরিক হিসেবে এলাকাবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এমন বেশ কিছু আইন রয়েছে। যা প্রত্যেক নাগরিককে জানা দরকার। তাহলে নাগরিকরা সচেতন থাকার পাশাপাশি তাদের অভিযোগও জানাতে পারবে এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে। দেশের নাগরিকরা সচেতন থাকলে অসাধুরা এগিয়ে যেতে পারবে না।