বিশ্বাস-অবিশ্বাস

কথিকা : ক্ষুদীরাম দাস

যেখানে বিশ্বাস দৃঢ় সেখানে অবিশ্বাস একেবারেই দুর্বল। সেখানে কোনো দুষ্টতা হানা দিতে পারে না; যদিও চারিদিকে সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্যে ও অবিশ্বাস ঢুকিয়ে দেয়ার জন্যে প্রলোভনের অভাব নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, এ ধরনের মানুষের মোটেও অভাব নেই।

তাদের থেকে খুবই সাবধান থাকতে হবে। কখনো কখনো তাদেরকে এড়িয়েও চলা যায় না, তাতে সমস্যাও তৈরি হয়ে যায়।

সুতরাং সে ক্ষেত্রে খুবই কৌশলী হতে হবে। আর যথাসম্ভব ঐ জাতীয় মানুষ থেকে নিজেকে ও আপনজনকে আড়াল করতে হবে। প্রয়োজনে নিজের অবস্থানকেও পরিবর্তন করা যেতে পারে। তাহলে অবিশ্বাসের বীজ নিজের ক্ষেত্রে আর আসবে না।

তবে কথা হলো, বিশ্বাস আমাদের অনেকটাই সাহস বাড়িয়ে দেয়, আত্মবিশ্বাসকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু মনের মধ্যে অবিশ্বাস জন্ম নিলে জীবনে শুধু সমস্যা বাড়তেই থাকে। সেখান থেকে নিজেকে আড়াল করা ও রক্ষা করা মোটেও সম্ভব হয় না।

আমাদের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায় বিশ্বাস ও বিশ্বাসে ভরপুর জীবন। জীবনের গতিময়তা এখানে পরিপূর্ণ। কিন্তু অবিশ্বাস আমাদের শুধু জীবনে যাতনারই জন্ম দিয়ে যায়, জীবনকে করে তোলে দুর্বিষহ।

আমরা কেউ দুর্বিষহ জীবন চাই না। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। কারণ, শান্তি আমাদের সবারই প্রত্যাশা! সুতরাং অবিশ্বাসকে মন থেকে বিতাড়িত করা উচিত।

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, প্রিয় সময় গুজব প্রচার করে না

০৩ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ১৮ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৫ সফর ১৪৪২ হিজরি, শনিবার