সম্পাদকীয়…
প্রেমিক কর্তৃক প্রেমিকা ধর্ষিতা!
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বলতেই হয় যে, মেয়েদের আরো বেশি সাবধান হতে হবে। আজকাল মেয়েরা অবশ্য এতোটা বোকা নয়, অথবা অশিক্ষিতও নয়। মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেছে। তবু কেনো মেয়েরা কিছু ক্ষেত্রে এতো ভুল করে। যদিও কাউকে ভালোবাসা বা প্রেম করাটা ভুল নয়। তবুও বিশ্বাসের জায়গাটা যেন স্থির থাকতে পারে সেদিকটি চিন্তা করে তাদেরকে আরো বেশি সতর্ক হওয়া দরকার বৈকি। প্রয়োজনে প্রেমের ক্ষেত্রে আরো কঠোর ও শক্ত হতে হবে। কেননা প্রেম-ভালোবাসার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে অনেক অঘটনই ঘটে যাচ্ছে দিনের পর দিন। প্রথমে প্রেম, তারপর বিশ্বাস অর্জন। এরপর ফাঁদে আটকে গিয়ে বিপদে পড়ে জীবনের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে অনেক মেয়ের জীবনে। তাই মেয়েদের আরো সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার রয়েছে।
প্রিয় সময়ে ‘সিলেটে ৮ দিন কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করল প্রেমিক ও তার বন্ধুরা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি একটি মেয়ের ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসের সুযোগে তার জীবন শেষ করে দিলো নিজেরই প্রেমিক। প্রকাশিথ সংবাদের মাধ্যমে জানা গেছে, সিলেটে বিয়ের প্রলোভনে সেই কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে টানা আটদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে নিজের প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। চারিদিকে এ জাতীয় ঘটনা শুনে আমরা আঁৎকে উঠি। কেননা প্রেমের অভিনয় করে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বনাশ করার ঘটনা আমরা অনেক জানতে পেরেছি।
এই কিশোরীও তার প্রেমিককে বিশ্বাস করেছিলো। কিন্তু তার সরল বিশ্বাসটাই তাকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে গেছে। মেয়েটি শিকার করেছে যে, জাকিরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভালোবাসার টানে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব না মানলে জাকির আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছিলো। এতে ওদের মধ্যে ভালোবাসার গভীরতা আরো বেড়ে যায়। মেয়েটির মন গলে যায় ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। পরে মেয়েটি ভয় পেয়ে কাউকে কিছু না বলেই জাকিরের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এভাবে যাওয়াটাই তার জীবনের সর্বনাশ ডেকে আনে। প্রেমিক জাকির তার পূর্ব থেকে প্রস্তুত থাকা আরো ৪-৫ জন যুবকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। ওই যুবকরা জাকিরের বন্ধু বলে পরিচয় দেন। এরপরে রাতেই তার চোখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে সবাই মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এভাবে মেয়েটির উপর নৃশংস নির্যাতন করেছে তারা।
ঘটনাগুলো এভাবেই ঘটে। এতো কিছুর পরেও কেনো যে মেয়েরা সহজে বিশ্বাস করে সেটাই ভাবার বিষয়। তবে বিশ্বাস করা মোটেও দোষের কিছু নয়। কিন্তু বিশ্বাসের আড়ালে অবিশ্বাসের ছাপও তো রেখে দিতে হয়, কেননা পরিস্থিতি বলে কথা।
অতীতেও আমরা এমন ঘটনা অনেক জেনেছি। কোনো মেয়েকে ধর্ষণ করা ও ধর্ষণের ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি-ইত্যাদি জঘন্য রকমের ঘটনার সাথে আমরা পরিচিত। এসবই হয় প্রথমে প্রেমের অভিনয়, অতঃপর দুঃখজনক ঘটনা।
আমরা চাই না সমাজে এমন অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটুক। এমন ঘটনা একটি পরিবার, একটি সুন্দর সমাজের জন্যে কলঙ্ক বয়ে আনে। একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। আমরা চাই এই ঘটনার সাথে জড়িত কথিক আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য
আপডেট সময় : ১১:৪২ পিএম
০৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪২ হিজরি, শুক্রবার