করোনাকে উপেক্ষা করে হাজীগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

মো.মজিবুর রহমান রনি:

হাজীগঞ্জ বাজারে ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে ভিড়ের কারণে প্রত্যেকেই যেন হাঁপিয়ে উঠছেন। তবে থেমে নেই, সবাই ছুটছেন পছন্দের পোশাকের সন্ধানে। মার্কেটগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

করোনা নামক কোন মহামারি আছে এটা যেন কারো মনের মধ্যেই নেই ।

ভিড়ের কারণে ক্রেতার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলারও সুযোগ পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। এর মধ্যেই পছন্দের কাপড় কিনছেন ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (৪ মে) ২১ রমজানে হাজীগঞ্জ বাজারে এ চিত্র দেখা যায়।

দোকানি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজান শুরুর পর আজ ২১ রমজান । প্রতি রমজানে সাধারণত ১৫ই রমজান থেকেই ঈদের কেনাকাটা পুরোদমে শুরু হয়। এখন থেকে দিন যত যাবে, ভিড় তত বাড়তে থাকবে। এখন যতটুকু দাম-দর করে কাপড় কেনার সুযোগ থাকছে, পরে সে সুযোগও থাকবে না।

ঈদের আগ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে গেলে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অনেকেই এখনই কেনাকাটা সেরে ফেলছেন।

এক ক্রেতা বলেন – ঈদের বাকি এখনও কিছু দিন, আজকেই কেনাকাটার জন্য ভালো মনে হয়েছে। পরে তো আরো ভীড় হবে।’

পরিবারের সবার নতুন পোশাক কেনা অনেকের পক্ষে একদিনে সম্ভব হয় না। এ জন্য একাধিক দিন মার্কেটে আসতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই ছুটির দিন বেছে নেন।

হাজীগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মেয়েদের পোশাকের দোকানে তুলনামূলক ভিড় বেশি। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেই বলে দিচ্ছেন, ব্যস্ততার কারণে কথা বলার মতো সময় নেই।

ক্রেতাদের এই উপচে পড়া ভীড়ের কারনে অনেককেই স্বাস্থ্যবিধীর তোয়াক্কা করতে দেখা যায়নি ।প্রশাসনের তদারকিতে অনেক দোকাদারকে আবার মাস্ক না থাকার কারনে কাপড় দিয়ে নাক মুখ বাঁধতেও দেখা যায় । ক্রেতাদেরকে দেখেছি বোকরা দিয়ে মুখ বাধলেও বাচ্ছাদেরকে নিয়ে আসছে মাস্ক ছাড়া । করোনা নামক কোন মহামারী আছে এটা যেন কেই মনেই করতে চাচ্ছেননা । পুরুষের চাইতে মহিলা ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশী লক্ষনীয় ।

তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও দোকানিদের দাবি বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে ভালো না।