হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নে গত ৫ বছরে চেয়ারম্যানের যত উন্নয়মূলক কাজ

জহিরুল ইসলাম জয় :
প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। এমনই একজন যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি হলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তিন বারের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনির হোসেন গাজী।

তিনি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মানুষের আশা এবং প্রত্যাশা থাকে। তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোপরি চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি আজ তাঁঁর ইউনিয়নে সর্বত্র সম্মানিত হয়েছেন। তিনি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি প্রবীন নয়! অনেক নবীন। মেধা এবং তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে হয়েছেন একজন সফল চেয়ারম্যান।

ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইউনিয়নবাসীর জন্য উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সর্বমহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। যেখানে পূর্বের চেয়ারম্যান ২০% পাকা রাস্তা করতে পারেননি, সেখানে এই চেয়ারম্যান ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর এবং পরিষদের দায়িত্ব নিয়ে বর্তমানে ইউনিয়নে ৮০% সিসি ও আরসিসি পাকা রাস্তা এবং ৭টি ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করেছেন। সে সাথে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। অসংখ্যা মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজে সরকারী অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে উন্নয়নের কাজ করেন।

বিশেষ করে বেলচোঁ টু সমেশপুর প্রায় সাড়ে ৮ কিলো পাকা সড়কে বদলে দিয়েছে পুরো ইউনিয়নের দৃশ্যপট। সড়কের পাশজুড়ে মানুষের বসত বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে উঠায় মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আর তা সম্ভব হয়ে উঠেছে হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি’র একান্ত প্রচেষ্ঠায়।
ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং প্রবীন নেতা হয়েও উদীয়মান নেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সব শ্রেনীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তাঁর মেধা মনন, কর্ম প্রয়াস ও শ্রমের বিনিময়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন পরিশীলিতভাবে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী দানশীল ও মুক্তিযোদ্ধা। ফলে এলাকাবাসী তাকে ২০১৬ সালের নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন।

বুধবার (৯ জুন) স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকে তাঁর ৫ বছরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, ঈদগাঁহ মাঠ সংস্কার করে গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সঠিকভাবে বিতরণ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করেছি। গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে চলেছি। আমি পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছি। তাই আমাকে আমার মেয়াদকালীন উন্নয়ন দৃশ্য দেখে ইউনিয়নবাসী আমাকে পূনরায় নির্বাচিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবু হানিফ মিয়া, ইউপি সদস্য মো. ছাইফুল্ল্যাহ বকুল, আবুল বাশার আটিয়া, শফিকুল ইসলাম, মুসলিম গাজী, জহিরুল ইসলাম ও দিলারা ইয়াছমিন।