নবাবগঞ্জে কঠোর লকডাউন পরিস্থিতির প্রথমদিনে মাঠে উপজেলা প্রশাসন

মাকসুমুল মুকিম, দোহার প্রতিনিধি :

মহামারী করোনা সংক্রমণ রোধে৷ সারাদেশের ন্যায় নবাবগন্জ উপজেলাতেও চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লক ডাউন।
১লা জুলাই থেকে দেশজুড়ে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে ঢাকার নবাবগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে কঠোর অবস্থানে দেখা মিলেছে।

সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তারা চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন প্রশাসন। সড়কগুলোতে কিছু কিছু রিক্সা ও অটোরিক্সা চলাচল করলেও মানুষের উপস্থিত অনেকটা কম। বন্ধ রয়েছে দোকনপাট।

ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।

১সপ্তাহব্যাপী এই লকডাউন বাস্তবায়নে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে সরকার।এদিকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনীও।

সকালে উপজেলা ঘুরে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা যায়। মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে; চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সড়কে সড়কে টহলও দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

সকাল থেকেই মাঠে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু, নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ, উপজেলা সহকারী কমিশনার অরুন কৃষ্ণ পাল সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মনজু বলেন, নবাবগঞ্জে লকডাউন কার্যকর করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। আমরা চাই মানুষ ঘরে থাকুক, নিরাপদে থাকুক। অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বের হবে না। সকলকে সুস্থ রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসন কাজ করছে।সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, সারা বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। করোনা প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন নির্দেশনার দিয়েছেন। জনগণকে সেসব নির্দেশনা অবশ্যই পালন করতে হবে। সরকারের দিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ সকাল থেকে কাজ করছে। আগামী ৭দিন পুলিশ প্রশাসন মাঠে থাকবে, আশা করি অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাহিরে বের হবেন না।