চাঁদপুরে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ২, পলাতক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর শহরের হাজী মহসীন রোডে একটি বহুতল ভবনে এক যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।

৩ আগষ্ট মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠা ২ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় অপর ১ জন পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর এনামূল হক চৌধুরী জানান, হাজী মহসীন রোডের প্রিমিয়ার হাসপাতালের ৭ম তলায় ভাড়া থাকেন রাবেয়া প্রকাশ পলি নামের এক মহিলা। তার বাসায় কাজের মেয়ে হিসাবে কাজ করতো ভুক্তভোগী ওই যুবতী।

গতকাল সন্ধ্যায় পলির ডাকে সারা দিয়ে ওই বাসায় আসে অভিযুক্ত ২ যুবক। পরে তারা জোরপূর্বক ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রাবেয়া প্রকাশ পলি এবং ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কামরুজ্জামানকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসি। অভিযোগ উঠা কামরুজ্জামানের সহযোগী ইলিয়াস হোসাইনকে আটক করতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

থানা সূত্রে জানায়, আটক কামরুজ্জামান শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার পিতার নাম সালামতউল্লাহ। তিনি বাবুরহাটে রড সিমেন্টের ব্যবসায়ী। এমনকি শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হবার জন্যও দৌঁড়ঝাপ দিচ্ছেন।

অপর আটককৃত রাবেয়া প্রকাশ পলির বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় পলাতক ইলিয়াস হোসাইন শাহরাস্তির শিমাইল গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তার পিতার নাম মোঃ আলী মিয়া। তিনি রূপালী ব্যাংকের চাঁদপুরের বাবুরহাট শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার।

এসব তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশীদ। তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ভুক্তভুগী যুবতীকে আইনি সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে নারী- পুরুষসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক আসামীকে আটকের ব্যপারে অভিযান অব্যাহত আছে।

তিনি আরও জানান, আমরা ওই যুবতীকে মেডিকেল টেষ্টের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর দায়ের করা ধর্ষণের মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।