নবাবগঞ্জে শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা, খুনিকে থানায় সোপর্দ

নিউজ ডেস্ক :

স্ত্রী বিয়েবিচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ায় শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন জামাই। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রী ও শ্যালক। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন আসামি। ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জের শোল্লা ইউনিয়নে ঘটেছে এ ঘটনা।

এ বছরের শুরুর দিকে পারিবারিক সম্মতিতে নবাবগঞ্জের আওনা গ্রামের শাওন মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের গ্রামের তানিয়ার। এলাকাবাসী জানান, বিয়ের পর থেকেই ঝগড়া লেগেই থাকত তাদের মধ্যে। নির্যাতনের শিকারও হতে হয়েছে তানিয়াকে। একপর্যায়ে স্বামীকে তালাক দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি, তাতেই বাধে বিপত্তি।

তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে দু’হাতে ছুরি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন শাওন। স্ত্রী-শাশুড়ি-শ্যালকসহ বাড়ির সবাইকেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মারা যান পঞ্চাশোর্ধ্ব হামিদা বেগম। গুরুতর আহত হন তানিয়া ও তার ভাই হাসান।

হাসান ও বড়বোন কনা বলেন, আমাদের মাকে কুপিয়ে খুন করেছে সে। আমাদের বোনকেও কুপিয়েছে। ফেরাতে গেলে আমাদেরও শরীরেও চোট লাগে।

তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে জড়ো হন এলাকাবাসী। হামলাকারী শাওনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা। মর্মান্তিক এ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শাওনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন, পরিবার স্বজন ও এলাকাবাসী।

আদালতে হত্যা ও হামলার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার শাওন। তিনি জানান, তাকে নেশাখোর বলে বাড়ি থেকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়। তাই তাদের প্রতি তার ক্ষোভ ছিল। এ কারণে এমন কাজ করেছেন।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাওন তার শাশুড়িকে হত্যা করেছেন এবং তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করেছেন। এ ছাড়া তার শ্যালককেও আহত করেছেন। এ বিষয়ে সে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হোক, সেটা আমরা দাবি করি।

এদিকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন তানিয়ার অবস্থায় আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে তার পরিবার।