ধানুয়া-গাজীপুর-গল্লাক ব্রীজের এপ্রোচ সড়কে ধব্স

মোঃ মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর উপর ধানুয়া- গাজীপুর – গল্লাক সড়কে ৯৯ মিটার দীর্ঘ ২০১৮/২০১৯ অর্থ বছরে ৬ কোটি ২২লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যায়ে এলজিইডি ব্রীজটি নির্মাণের পর দু‘বছর না যেতেই ধব্স নেমেছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন জানায়, সম্প্রতি ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের দক্ষিণ পশের্^ এপ্রোচ সড়কের মাটি ধসে গিয়েছে। একই সাথে দুই পাড়ের ইটের সলিংয়ের রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন মহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ব্রীজ নির্মাণের এতো অল্প সময়ে এপ্রোচে ধব্স কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না।

ব্রীজটিকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ব্রীজের পাশের্^ অবস্থিত ধানুয়া হাওড় ও ডাকাতিয়া নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিকেলে হাজার হাজার মানুষ আড্ডা জমায়। দূরদূরান্ত থেকে আসে ভ্রমণপিপাসু নারী-পুরুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জের ধানুয়া- গাজীপুর নামক ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের অংশে নির্মিত এপ্রোচ সড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ইটের সলিংয়ের রাস্তায় গর্ত দেখা দিয়েছে। দ্রƒত মেরামত করা না হলে বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এপ্রোচ সড়ক ভরাটে নদীর খুব কাছ থেকে ড্রেজারে বালি উত্তোলণের কারণকে অনেকে দায়ী করছেন। অনেকে আবার কাজের গুণগত মানকেই দায়ি করছেন। কাজের গুনগত মান ভালো না হওয়ায় এ অবস্থা দেখা দিয়েছে।

২০২০ সালের শেষের দিকে উদ্বোধন করা হলেও বছর না যেতেই ঝুঁকিতে পড়েছে ব্রীজটি । প্রতিনিয়ত অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে জানযাহন চলছে।

এ বিষয়ে ব্রীজটি নির্মাণের সময় দায়ীত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আয়ূব খাঁন জানান, প্রায় তিন বছর সময়কাল পার হয়েছে। সম্প্রতি অতি বর্ষণের কারণে বালি ধ্বসে পড়েছে। মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে।

ঠিকাদারের সিকিউরিটি মানি তুলে নিয়েছে কি ? প্রশ্নের জবাবে বলেন, বহু আগেই নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলার অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা প্রকৌশলী এ.এস.এম. রাশেদুর রহমান বলেন , ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের দক্ষিণ অংশে এপ্রোচে সামান্য গর্ত হওয়ার বিষয় অবগত রয়েছেন। অচিরেই মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।