চাঁদপুরে মসজিদের মুয়াজ্জিন কর্তৃক শিশু ছেলে বলাৎকারের অভিযোগ

হোসনে মোবারক:
চাঁদপুর মসজিদের মুয়াজ্জিন কর্তৃক শিশু ছেলে ইয়াসিনকে বলাৎকারে অভিযোগ উঠেছে। মুয়াজ্জিন ওবায়দুল্লাহ মোহাম্মদ ইমরান পলাতক রয়েছে। ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৩ টায় দক্ষিণ গুণরাজদী ময়দা’র মেইল জামে মসজিদে অন্যান্য শিশুদের মত আট বছরের শিশু ইয়াসিন মক্তবে আরবী পড়তে যায়। ঘটনাক্রমে সহপাঠীদের আগেই মক্তবে উপস্থিত হয়। শিশু ইয়াসিনকে একা পেয়ে মসজিদের ছোট হুজুর নামে পরিচিত মুয়াজ্জিন ওবায়দুল্লাহ মোহাম্মদ ইমরান মসজিদ থেকে হুজরাখানায় নিয়ে যায় তালেবে এলম (ছাত্র) থেকে সেবা নিতে।

এক পর্যায় শিশু ইয়াসিনের চোখ বেঁধে মুখে নরম কী যেনো ঢুকিয়ে দেয়। পরে শিশু ইয়াসিন বমির পর বমি করতে থাকে। ইয়াসিন যখন এসব ঘটনা পিতা মাতাকে জানাবে বলে মুয়াজ্জিনকে জানায়। মুয়াজ্জিন তখন ইয়াসিনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়। শিশু ইয়াসিন ভয়ে তটস্থ হয়ে পরে এবং ভয়ে ভয়ে বাসায় চলে আসে। ইয়াসিনের অস্বাভাবিক আচরণ ও বারবার বমি করতে দেখলে মা জেয়াসমিন বেগম ছেলের কাছ থেকে কী হয়েছে জানতে চাইলে ছেলে তার মাকে ঘটনার সব কিছু খুলে বলে।

এই ব্যপারে উক্ত মসজিদের খতিব মো. আহসানুলকে ফোনে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানায়।

ভোক্তভোগি শিশু ইয়াসিনের কাছে জানতে চাইলে ইয়াসিন জানায়, হুজুর নাকি তাকে ডেকে নিয়ে যায় ভিতরের রূমে। তারপর হাত পা টিপতে বলে। এক পার্যায় তার কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে ওর মুখে মোটা নরম কী যেনো ঢুকিয়ে দেয়। তারপর মুখে পিছলা নোনতা নোনতা লাগে। শিশুটি যখন চিৎকার করে তখন তাকে রড দিযে পিটাবে বলে হুমকি দেয়।

ইয়াসিনের বাবা মো. আনোয়ার ছৈয়াল জানায়, কাজের কারণে আমি বাড়িতে থাকি না। ঘটনা শুনে আমি বাড়িতে এসে জানতে পারি আমার ছেলের সাথে বাজে কিছু হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এই ব্যাপারে শিশু ইয়াসিনের মা’কে প্রশ্ন করলে করলে চাঁদপুর রিপোর্টকে জানায়, আমার ছেলের সাথে যা হয়েছে, এই ব্যাপারে আমি এলাকার গণমাণ্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি। দেখি ওনারা এর কী বিচার করে। যদি যথাযথ বিচার না পাই তবে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করবো। এর সুষ্ঠ বিচার হতেই হবে।

বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই এলাকার গণমাণ্য ব্যক্তিত্ব নাজমুল হোসেন পাটওয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এই ব্যপারে শিশু ইয়াসিনের গার্ডিয়ানের সাথে কথা বলে জানতে পারছি ঘটনাটি নাকি সত্যিই ঘটেছে।

অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনকে অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায় নি। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে মুয়াজ্জিন পলাতক আছে। মুঠো ফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ বলে জানায়।

মক্তবে পড়তে যাওয়া আরেক শিশু মিজান জানায়, আমাদের ছোট হুজুর আমাকে মাঝে মাঝে মোবাইলে খারাপ খারাপ জিনিস দেখায় এবং রূমে আমাকে নিয়ে খাটে শুতে বলে। কিন্তু আমি তা না শুয়ে চলে আসি।