পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগে সুজন সভাপতি ও সম্রাট সা. সম্পাদক পুনরায় নির্বাচিত হলেন

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :

‘বিএনপি-জাতীয় পার্টি অতীতে যারাই ক্ষমতায় ছিলো, তারাই আওয়ামী লীগকে উপড়ে ফেলতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা সকলেই ব্যর্থ হয়েছে। নয়াপল্টন অফিসে বসে প্রতিদিনই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছে বিএনপি। ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি বলে আসছে আমাদের দিন ঘনিয়ে আসছে।’ পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে এ কথা বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

রবিবার (২০ মার্চ) সকালে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলোনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনে উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। সম্মেলনে ভার্চুয়ালি হিসেবে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

পঞ্চগড় পঞ্চগড় সুগার মিল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নূরুল ইসলাম সুজন এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।

সম্মেলন সঞ্চালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফিক বলেন, আওয়ামীলীগের কোনো ভাই লীগ, আপা লীগ নেই। আওয়ামীলীগ করতে হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ উদ্দেশ্য মানতে হবে। তাঁর নির্দেশ অমান্য করে কেউ আওয়ামীলীগে স্থান পাবে না। করোনাকালে বিশ্ব যখন টালমাটাল, তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এখন শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে থাকেন, তিনি কিভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

সম্মেলনে জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডআওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে রেলপথ মন্ত্রী এড. মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি সভাপতি এবং আনোয়ার সাদাত সম্রাট সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন।