দহনের ভাঁজ : যুবক অনার্য

কুমারী, এই ঝড়ঝঞ্জাবাতে তুমি এসো না
চারদিকে শকুনের কোলাহল, বজ্রপাত,
সহসা ছুটে আসছে গোঁয়ার বাতাস
কারা যেনো হল্লা করে বেড়াচ্ছে
এই ঝঞ্জাকে দেখিয়ে কাঁচকলা
এরা কারা এরা তবে কারা!

যারা সম্বৎসর নিয়ে যায় পুরষ্কার অকবিতা লিখে!
এরা কারা এরা তবে কারা
যারা মিথ্যে কথার খই ফুটিয়ে নির্জনে নিয়ে যায় আমাদের নিজস্ব ডেরার অবলা রমণীকূল!

এরা কারা এবং কারা দিচ্ছে মদদ, যে,
শনৈঃ শনৈঃ এদের বেড়ে যাচ্ছে কদর আর ভেবে নিচ্ছে অর্বাচীন পাঠক এদেরকেই পাকা কবি!
ভেবে নিচ্ছে অবুঝ প্রেমিক তবে এদেরকেই প্রকৃত প্রেমিক!

কুমারী, তেত্রিশ বছর হল- দেখছি,এরা
যারা খবর রাখেনি এ কথার- ডারউইন
পরিবর্তন দেখেছিলেন বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আর রবীন্দ্রনাথ দেখেছিলেন পৃথিবীর চিরায়ত দর্শন
ডায়োজেনিস সেই ২০০০ বছরেরও কিছু আগে দেখাতে চেয়েছিলেন – কতোটা অল্পতেই কেটে যেতে পারে মানব জনম
এবং সম্প্রতি মানুষেরা জেনে গেছে –

সময়ের সঙ্গে শূন্যতার কোনো সংঘর্ষ নেই
এসব কিছু জানবার পরেও,কুমারী, তুমি এই অকালবতী ঝঞ্জাবাতে
হারিয়ে যেতে পারো
টহলদার এ সকল নিশাচর ইঁদুরের কাছে
যারা বস্তুত না কবি না প্রেমিক
যারা বস্তুত বেসুরো সংস্কৃতির ভাড়াটে দালাল!

কুমারী,এমন এই ঝোড়ো কু- আশার রাতে যখন ফাঁদ পেতে আছে শকুনের সংগুপ্ত দাঁত
তোমাকে তবু
বেরিয়ে আসতেই হবে বোলে
আমি উড়িয়ে দিলাম কবিতার সশব্দ কারুকাজ
প্রতিটি অক্ষরে তুমি বুনে রেখো
দহনের তীব্রতম ভাঁজ!