যখন পাপে নিমজ্জিত!

ক্ষুদীরাম দাস :

যখন পাপে নিমজ্জিত হাবুডুবু যাতনায়!
তখন ক্ষয়ে পড়ে সুখের জীবন, হারিয়ে যাই অজানা গন্থব্যে
চারিদিকে স্তব্ধতা ধীরে ধীরে ধেয় আসে,
আর প্রেম সেতো খাঁচায় বন্দী!
হয়তো একটি গভীর রাত, হয়তো একটি আলোকিত দিন
তবুও সুখ কাউকে দেয়া যায় না, নিজেও সুখী হওয়া যায় না।
যখন পাপে নিমজ্জিত তখন সুখের আলো প্রতিফলিত হয় না, হবে না, হয়নি কখনো।
সত্যিই এসব বুঝতে পারে না পাপে নিমজ্জিত যারা।
শুভ্রতার প্রতীক, শান্তির প্রতীক ডাকলেও ধরা দেয় না কোনো কালে অপবিত্রতায়!
অসৎ জীবনের আনন্দগুলো ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে ইচ্ছে হয় না,
যখন পাপে নিমজ্জিত! অথচ যাতনায় জ¦লছি তো জ¦লছি!
হে পাপী! ধব ধবে সাদা চাদরের মতো ইচ্ছে কি জাগে না কোনোদিন?
যখন পাপে নিমজ্জিত! তখন কেউ ভালোবাসে না,
তখন হয়তো বড় বিশ্বাস আর ভালবাসায় জাগিয়ে তোলার কেউ থাকে না,
যখন পাপে নিমজ্জিত! দুঃসময় ক্ষণগুলো! কষ্ট আর কষ্ট!
শর্তহীন নোংরা প্রেম প্রেম খেলা, ভালোবাসাহীন আশ্রয়গুলো আস্তাকুঁড়ে
ছদ্মা নামে ডাকা, সংগোপনে নিজেকে জড়ানো-সবই আলোহীন জীবনের খেলা।
যখন পাপে নিমজ্জিত অন্ধকারময় জীবন-
তখন বলা যায় না নির্দ্বিধায় – আমি কে, কি পরিচয়,
অথবা কি ছিলাম, কোথায় এসে দাঁড়ালাম!
অথবা আমিতো এমন জীবন চাই নি,
আর আমি তো মুক্ত আকাশে বন্দী যেন,
ভালোবাসাহীন নির্লিপ্ত জীবন যাপন মৃত দেহ যেন,
পরিচিত হওয়ার মতো নাম নেই, কী নাম আমার!
যখন পাপে নিমজ্জিত! সুখের জন্যে হাহাকার,
অথবা শৃঙ্খলে বন্দী আমি, আমি আমার স্বাধীনতা চাই।
যখন আমি পাপে নিমজ্জিত! আমার ব্যথা কেউ বুঝবে না,
অথবা আমার চারিপাশে অসত্যের হাতছানি,
তিলে তিলে, ধুঁকে ধুঁকে মরছি তো মরছি,
আমি কাঁদতে চাই না, কিন্তু কাঁদি আমি জীবনভর!
আমি হাসতে চাই, কিন্তু হাসতে পারি না, কোনোদিন হাসিনি।
যখন পাপে নিমজ্জিত! তখন আমি শূন্য-নিরাশার পথের পথিক।