পরিকীর্ণ পানশালা : যুবক অনার্য

তুমি চলে গেছো, অপেক্ষার পারদ
জমেছে বুকে,
বুক থেকে লোহিতকণিকা টেনে
সিথানে রেখেছো তোমার;
তুমি বিস্মৃত তাম্রলিপি- হৃদয়ে বুনে
অক্ষরের অভিশাপ
এ কবিকে করেছো ঋণী- চিরদিন।

না মানার অভিযোগে দেয়ালে
দিয়েছে সেঁটে পোস্টার এ রাষ্ট্র
বিরুদ্ধে আমার, নিমজ্জিত দ্রোহময়
এই একা আমি;
একা একা অচল মুদ্রার মতো নিস্প্রয়োজন এ রাষ্ট্রের কাছে
কেবলি করেছি উচ্চারণ

ভেঙে ফেলতে লাল গালিচার
জনতাবিরোধী আয়োজন
তাই তোমার কাছেও যে আমি
ফেলে দেয়া কমলার খোসা
আমাকে গ্রহন করে নি
কেনো রাজা, কোনো রাণী
যেহেতু জেনে গেছে আমি সুউচ্চ পোশাকের রঙ জ্বালিয়ে দিতে জানি
ক্ষারে,
আমি- শাসিতের জীর্ণ দাগের কাছে
আরও এক বিদীর্ণ দাগ শুধু।

মানুষের সুখ আজ অসুখের ভিড়ে
নতজানু

মানুষের দুঃখ আজ ভাসিয়ে দিয়েছে বেদনার পটে আঁকা শিশুদের শব, এরকম কেনো আজ দ্রবীভূত ক্ষুধা
কেনো তবে তীরন্দাজ নিজেই বিদ্ধ হলো তবে কি নিজেরই ভুলে! মাধবীও
শরীর বিলিয়ে কতিপয় মাথামোটা শিল্পহীন সুধীদের কাছে বড়ো বেশি উজ্জ্বল হলো
লোকালয়ে বিবিধ ঢেউয়ে-জিনে।
আজও যে সংশপ্তক- আমারই মতন -ঐতিহ্যে- আসামী হয় বুকপকেটে
সন্ন্যাস রেখে।

তুমি ফিরে যদি বা আসো না আসার মত কুটনৈতিক ছলে – সে তোমার ধৃষ্ট ধৃষ্ট ব্রতাচার নয়! – যেরকম এ রাষ্ট্র
বিছিয়ে রেখেছে জনতাকে জনহীন ক’রে;
শুধু এক দন্ডাজ্ঞা আমার হয়ে আছে
জন্মসুত্র ধরে যে জন্ম আমাকে
দাঁড় করিয়েছে শ্বাপদচিহ্নের তীরে
যেখানে প্রগলভ হতাশার বিলাসিতা নেই,নেই স্বপ্নঘাতী কুহেলিকা।
এখনও আছো তুমি চলে গিয়ে,
প্রতিবার যতটা পোড়ানো যায়
পুড়িয়ে আমাকে ধ্বস্ত করেছো ভালোবাসা
আর আমাকে করেছো ঋণী চিরদিন
যে আমি অবাধ্য জন্ম নিয়ে ফিরে আসি
এ বাংলায় সহস্রবার
পরিকীর্ণ পানশালার মতো উৎকীর্ণ- ধীরে।