কৌশলে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয় সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে

কুমিল্লা প্রতিনিধি : ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৪৪
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে (২৮)। তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়েছে। সাংবাদিক মহিউদ্দিন হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্যই জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় দু্ইন ও এজাহারবহির্ভূত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার।

এজাহারনামীয় দুই আসামি হলেন মো. ফরহাদ মৃধা ওরফে মনির হোসেন ও মো. পলাশ মিয়া। আর এজাহারবহির্ভূত দুইজন হলেন নুরু মিয়া ও সুজন মিয়া।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার সময় ফরহাদ মৃধা ও পলাশ সাংবাদিক মহিউদ্দিনের সঙ্গে ছিল। মামলার প্রধান আসামি রাজুর সঙ্গে যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মহিউদ্দিনকে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় তারা। হত্যাকাণ্ড শেষে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় দুইজন। আর তদন্তে প্রাপ্ত নুরু ও সুজন ঘটনাস্থলে থেকে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে। এ ছাড়া আসামিদের পালাতে সুযোগ করে দেয় তারা। মামলার প্রধান আসামি রাজুসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃত চারজনকে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচংয়ের ভারত সীমান্তের শীর্ষ মাদক ও চোরাকারবারি মো. রাজুকে। রাজু জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদনগর এলাকায় ওই সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত মহিউদ্দিন সরকার নাঈম (২৮) পাশের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেন সরকারের ছেলে। তিনি আগে আনন্দ টেলিভিশনের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এ ছাড়া দৈনিক কুমিল্লার ডাক নামে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে স্টাফ রিপোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন।