শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব সরকার, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করছেন : মেজর অব. রফিকুল ইসলাম

মো. মজিবুর রহমান রনি:
চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির আসনের সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি দিনব্যাপী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব সরকার, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামগত ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তখন আপনাদের ভোটে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। তখন থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৭ বছর আমার নির্বাচনী এলাকা হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দুই উপজেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৮শ’ নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসব উন্নয়ন এই এলাকার অন্য সংসদ সদস্যরা করতে পারেননি।

শনিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর এবং ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। তখন এই নির্বাচনী এলাকার সড়কগুলো পাকা ছিল না। আমরা পর্যায়ক্রমে ৭শ’ কিলোমিটার সড়ক পাকা করেছি। ডাকাতিয়া নদীর উপর ৮টি ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। আরো ৩টির কাজ চলমান। এছাড়াও ছোট বড় মিলিয়ে ৮শ’ ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মান হয়েছে। এসব উন্নয়নের কারণে এখন গ্রামের চিত্র পাল্টেছে এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। প্রত্যেক ঘরে ঘুরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। আমাদের উন্নয়ন কাজ অনেক হয়েছে। এখন প্রয়োজন মানুষের কর্মসংস্থানের। সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে। কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৭ বছর আগে এসব গ্রাম এলাকার ছবি যদি কারো কাছে থাকে তাহলে তুলনা করে দেখবেন কতটা উন্নয়ন হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার দু’টি উপজেলা, দু’টি পৌরসভা ও প্রত্যেকটি ইউনিয়নে আমার সাধ্যমত জনগণের দাবীগুলো পুরনের চেষ্টা করেছি। এসব এলাকার লোকজন আমার আত্মীয়। তাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক আছে। তা না হলে তারা কেন বার বার আমাকে নির্বাচিত করবেন। সরকারের এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য আমাকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাদের সহযোগিতা করেছেন। যে কারণে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেকটি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

১৮জুন শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুরর উত্তর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এর বহুতলা ভবন, কাকৈরতলা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার চারতলা বিশিষ্ট প্রথম তলা ভবন, একই ইউনিয়নের মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভীত বিশিষ্ট ১ম তলা ভবনের উদ্বোধন করেন।

বিকাল তিনটায় গন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের দেশগাঁও দারুসসুন্না ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার চারতলা একাডেমিক ভবন, বিকেল চারটায় জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলাবিশিষ্ট প্রথম একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন এবং ২, ৩, ৪র্থ তলা স¤প্রসারণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

একই সময়ে দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের চারতলা ভিত বিশিষ্ট ভবনের উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান মানিক, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জোবাইর সৈয়দ, শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান, হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন, ৯নং গন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নুর রহমান বেলাল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলিটারি, ১নং রাজারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাদী মিয়া, ৩নং উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানিয়া, ৫নং হাজিগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানিয়া সুমন, ৬নং বকুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, ৭ নং পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হেলাল, ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাশেম, রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এসএম মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহমেদ ভূঁইয়া, আবুল কাশেম উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক মাসুদ ইকবাল যুগ্ম আহŸায়ক জাকির হোসেন সোহেল, হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি সহ আওয়ামীলীগ যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।