চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকউল্ল্যাহ দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী-চাঁদপুর :
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিকউল্ল্যাহ নিজ ঘরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে।

২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের নতুন বাজারস্থ নিজ বাড়ি থেকে স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল্লাহ চাঁদপুরে সর্বজন শ্রদ্ধেয় হেদায়েত উল্লাহ কোম্পানীর পুত্র। তারা ৪ ভাই ও ৩ বোন।

জানাযায়, রফিকুল্লাহ নিজ বাসায় শহরের নতুন বাজারস্হ সফিউল্লাহ বোডিং বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় বিশ্রামে ছিলেন। মাগরিবের নামাজের পর তাঁর বাসার থাকায় মিরাজ এসে দেখেন কে বা কারা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এরপর তাঁর বাসায় থাকা মিরাজ তাঁকে খুঁজতে গিয়ে দেখেন শরীরের বিভিন্ন স্হানে ছুরিকাঘাত ও একটি ছুরি তাঁর শরীরে বিবদমান রয়েছে। পরে তার ডাক চিকিৎকারে স্হানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পৌর মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ও শত শত জনগন হাসপাতালে তাকে দেখতে এক নজর ভীড় জমায়।

এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সদর সার্কেল আসিফ মহিউদ্দিন, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আবদুর রশীদসহ পুলিশের একাধিক টিম হাসপাতালে ছুটে আসেন।

নিহতের আত্মীয়রা জানান, শনিবার মাগরীবের নামাজ পড়ে আমরা নিচতলায় বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ উপর তলা থেকে রফিকুল্লাহ মামার কেয়ারটেকার মিরাজের ডাক- চিৎকার শুনে উপরে আসি। কোয়াটার মিরাজ আমাদেরকে জানায়, রফিক উল্লাহ মামার কাছে বাবুরহাট এলাকার একটি ছেলে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো। কিছুক্ষণ আগে তাকে মামার রুম থেকে বের হয়ে যেতে দেখেছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা, আমরা ছুরি এবং ধারালো অস্ত্র জব্দ করেছি, আমরা প্রাথমিকভাবে খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে হত্যার প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।