হাজীগঞ্জে ৮ লক্ষ টাকা প্রতারনা করে বৃদ্ধার উপর হামলার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :
হাজীগঞ্জে বায়নাপত্রে ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে বছরের পর বছর পার করে আসছে এক প্রতারক। স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঐ প্রতারক দলবল নিয়ে শুক্রবার সকালে বৃদ্ধার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বৃদ্ধা সেকান্তর আলী (৮০), স্ত্রী জাহানারা বেগম ও মেয়ে মাহিনুর আহত হয়।

স্থানীয়রা সবাইকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। ঘটনাটি উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নের অলিপুর হাজী বাড়ীতে শুক্রবার সকালে ঘটেছে।

ঘটনার বিবরনে জানাযায়, অলিপুর হাজী বাড়ীর মৃত আশেক আলীর ছেলে সেকান্তর আলী (৮০) কাছ থেকে ২০০০ সালে ভূমি রেজিঃ বাবদ বায়নাপত্র ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন একই গ্রামের মিজি বাড়ীর মৃত আবু তাহেরের ছেলে হুমায়ুন কবির বাবুল। বছরের পর বছর ধরে দেই দিচ্ছি বলে দেশান্তর হন বাবুল। সর্বশেষ খোজপেয়ে নিরুপা হয়ে বৃদ্ধা সেকান্তর আলী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে গ্রাম পুলিশ দুলাল শুক্রবার সকালে প্রতারক বাবুলের কাছে চেয়ার অফিসের সীলমোহরকৃত কারন দর্শানো নোটিশ দিয়ে আসে। নোটিশ পেয়ে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুল ও তার ছেলে হাবিব মিলে শুক্রবার সকালে বৃদ্ধা সেকান্তর আলীর বাড়ীতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বসতবাড়ি ভাংচুর করে বৃদ্ধার শরীলে কাঠ দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত যখম প্রাপ্ত হয়। এ সময় তাদের হামলায় আহত হয় বৃদ্ধার স্ত্রী জাহানারা ও মেয়ে মাহিনুর আক্তার।

এলাকার স্থানীয় কহিনুর বেগম বলেন, প্রায় দেড়যুগ আগে যায়গা দিবে বলে ৮ লক্ষ টাকা বাবুল মিজি নিয়েছে বলে শুনেছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে টাকা চাওয়ায় বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেসহ হামলা চালিয়েছে।

বৃদ্ধার মেয়ে মাহিনুর আক্তার বলেন, আমরা কোন কিছু বুঝে উঠতে পারিনি, হঠাৎকরে তারা বাপ বেটা দ্যা, লাটি নিয়ে আমাদের ঘর বাড়ি ভাংচুর চালায়, আমার বৃদ্ধ বাবা মাকে হামলা চালায়, এমনকি আমার শরীলে হাত দিয়ে টানাহেঁচড়া করেছে।

বৃদ্ধা সেকান্তর আলী বলেন, বাবুল আমার কাছ থেকে বায়নাপত্র ষ্ট্রাম্পের মাধ্যমে স্বাক্ষর করে ৮ লক্ষ টাকা নেয়। জমিও না, টাকাও না এমন অবস্থায় চেয়ারম্যানের কাছে আমি লিখিত অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার ও পরিবারের উপর এ হামলা চালায়। সেই সাথে আমার বসতঘর ভাংচুর চালায়। আমি থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি তাই প্রশাসনের কাছে সু-বিচার চাই।

প্রতিপক্ষ হুমায়ুন কবির বাবুলের ফোনে কল দিলে মহিলা ফোন রিসিভ করলে সাংবাদিকের কথা শুনে কথা না বলে ফোন কেটে দেয়।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন বলেন, আমার চৌকিদার নোটিশ নিয়ে গেলে পরবর্তীতে যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি শুনেছি। বিষয়টি মনেহয় থানা পর্যায়ে পৌচেছে, তার পরেও আমার কাছে লিখিত অভিযোগ পেলে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।