পাড়ি দেয় অচেনা গন্তব্য পথ

জিএম মুছা :

অন্ধকার রাত্রির দেয়ালে আঁকা, কোন এক আগন্তুকের বিমূর্ত রাতের ঝুলান্ত ছবি দেখে, ভীষণ রেগে যায় আয়েশী ঘুমন্ত সরীসৃপ, তোমাদের কি কোন কাজ নেই , কেন ঘুম ভাঙতে আসো যখন তখন?

রাত ও রাতের আঁধারকে অনেক আগেইতো বর্গা দিয়েছি তোমাদের রাতের সন্ত্রাস দুর্বৃত্তের কাছে, দিন রাত অদ্ভুত কর্কশ সব বিকট শব্দে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজিয়ে, দূষিত কালো ধোঁয়া উড়িয়ে করে শব্দ দূষণ, প্রাকৃতিক পরিবেশ ভারসাম্য হারায়, চারিদিকে শুধু ময়লা স্তূপ হতে দম বন্ধ হওয়া দুর্গন্ধময় বাতাস ভেসে বেড়ায় যত্রতত্র, রাত্রির ঘুমন্ত শরীর হয়ে ওঠ অস্থির আর বেশি ভয়ংকর, যেন ময়লা স্তুপের দুর্গন্ধ আর কাঁঠালি চাপার মৌ মৌ গন্ধে দমবন্ধ হয়ে আসে, ভুতুড়ে এই শহরে কাকতাড়ুয়া বড্ড বেশি বেমানান, পাখিদের কিচিরমিচির একটানা শব্দ, অহরাত্র রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুর গুলোর ঘেউ ঘেউ অকারন শব্দ বড় বেশি বেসুরা লাগে,অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে মনুষ্য জীবন,পথ ভুলে কেহ কেহ জল-স্থল থেকে উঠে আসে, আঁধারের গায়ে আঁকা পাল তোলা নৌকায়,লঞ্চ, জাহাজ, স্টিমারে, এখানে আর নয় দুর্গন্ধ ময় সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে অন্য কোথাও যেতে হবে, কি অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে একের পর এক, তবুও আশ্চর্য হওয়ার যেন কিছু নেই, সবকিছু চলছে ঠিকঠাক বলছে সবাই,কেবল কিংকর্তব্যবিমূঢ় অসহায় কিছু মানুষ! রাত্রির গায়ে আঁকা অসংখ্য ছবি-ছায়াপথ চিনে চিনে পাড়ি দেয় অচেনা গন্তব্য পথ।