স্বরূপকাঠির মাদ্রা গ্রামে লোহারপুল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি :

স্বরূপকাঠির মাদ্রা ঝালকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে লোহার পুল নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাক্কলনে ধরা দৈর্ঘ্যরে চেয়ে কম দৈর্ঘের পোষ্ট, ডাবল হেডে ইআই রেইলের পরিবর্তে সিঙ্গেল রেল লাইন কেটে জোড়ানো হয়েছে।

অনেকগুলো পোষ্টে মরিচা ধরা যা পরিস্কার করে আলকাত্রা দেওয়া। আড়া, জল আড়া হিসেবে ব্যবহারে জন্য বিমের বা চ্যানেলের পরিবর্তে তিন বাই তিন এ্যাঙ্গেল জোড়ায়ে চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এলাকাবাসী আপত্তি জানালে উপ-ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম ও আইয়ুব আলী হলুদ এলাকার মানুষকে কঠোর ভাষায় বলেছেন, অফিসের কথা মত কাজ করব আপনাদের কোন জবাব দিব না। এর পরে তাদের ভয়ে এলাকাবাসী কোন কথা বলতে রাজি হন নি। ওই কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইফতি এন্টারপ্রাইজের নামে। প্রতিষ্ঠানের মালিক ভান্ডারিয়ার মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম। ওই কজের মিস্ত্রিকে নিযে মালামাল দেখান। একপর্যায়ে মিস্ত্রী পোষ্টগুলো মেপে দেখান। দেখা যায় পুল নির্মানের জন্য আনা মালামালের মধ্যে ডাবল হেডেড ই আই রেইলের পরিবর্তে অনেকগুলো সিঙ্গাল হেড রেইল লাইন আনা হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো এক পাশে ডাবল হেড রেল অপর পাশে সিঙ্গেল হেড লাইন কেটে জোড়া দেওয়া। অনেকগুলো পোষ্ট মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। সবগুলো জোড়া দিয়ে আলকাত্রা দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় প্রাক্কলন অনুযায়ী মূল পোষ্টের দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট।

সেখানে আনা হয়েছে ৩১ থেকে ৩৩ ফুট একটি মাত্র পোষ্ট ৩৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। এ ভাবে সবগুলো পোস্ট কম মাপের। আড়া জল আড়া হিসেবে ব্যবহারে জন্য বিমের বা চ্যানেলের পরিবর্তে তিন বাই তিন এ্যাঙ্গেল জোড়ায়ে চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য মূল বিম(জয়েস্ট) আনা হয়নি।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান পাওয়া যায় না। আরো অভিযোগ রযেছে একই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে ওই উপঠিকাদারগন শান্তির হাটে নিন্ম মানের মালামাল দিয়ে একটি রাস্তার কাজ করাচ্ছেন। সেখানেও অভিযোগে পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হলেও কোন ব্যবস্থা হয়নি। লোক দেখানো পরিবর্তন করানো হয়েছে মাত্র।

উপ ঠিকাদার রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, লোহার দাম বেশি তাই একটু কম এনেছি। একটু কম কি ১৬ ফুট/২০ ফুট ? এমন প্রশ্নে জবাবে বলেন, আপনাদের ফোনের কারনে উপজেলা প্রকৌশলী সাইডে গিয়েছিলেন। তিনি আরো ৫ ফুট বিম জোড়া দিতে বলেছেন। এলাকাবাসীও তাতে রাজি হয়েছেন। আমি ৫ ফুট জোড়া দিয়েদেব। মালের মানের বিষয়ে বলেন লোহার মালের দাম বেশি এবং বাজারে পাওয়া যায় না। তাই যা পেয়েছি তাই এনেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি সরে জমিনে পরিদর্শন করেছেন। তবে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন সাইডে গিয়ে সঠিক মালামাল পাইনি। লম্বা যা থাকার কথা তার চেয়ে কম আছে। সব মালামাল আনা হয়নি। লোহার মালামাল জোড়া দেওয়া সম্ভব। ওই মালে জোড়া দেওযা যাবে। বিষয়টি কনসালটেন্টকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে পিডিকে জানাব। তবে কাজ বন্ধ রয়েছে।

রাস্তার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমিতো ওই মালামাল অপসারন করতে বলেছি। উপসহকারী প্রকৌশলী জানিয়েছেন মালামাল পরিবর্তন করা হয়েছে। আপনি তা যাচাই করেছেন কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে বলেন আমার অফিসের লোকদেরকে তো বিশ্বাস করতে হবে।