স্বরূপকাঠীর নান্দুহার দারুচ্ছুন্নাৎ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

স্বরূপকাঠী প্রতিনিধি :

স্বরূপকাঠীর নান্দুহার দারুচ্ছুন্নাৎ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া সহ
অবৈধ কার্যকলাপ, দূর্নীতি, জালিয়াতি ও হয়রানীর অভিযোগ এনে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঐ মাদ্রাসার সহকারী সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।

নান্দুহার দারুচ্ছুন্নাৎ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার বাবুল আক্তার ঘুষ নেয়া সহ বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের কথা বলে পুনরায় দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতে দিবেনা এই মর্মে হুমকী প্রদান করে।

উন্নয়ন কাজের আরো ২ লাখ টাকা দিতে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে একলক্ষ টাকা পরিশোধ করে। পরবর্তীতে ব্যাংকের স্বাক্ষরিত অলিখিত একটি চেকের পাতা জোর পূর্বক জমা নেয়। এর পরেও তাকে বিভিন্ন ভাবে অপদস্ত করে এবং মাদ্রাসায় ক্লাস নিতে বাধা প্রদান করে। গত কয়েকদিন যাবত হাজিরা খাতা লুকিয়ে রাখে যাহাতে হাজিরা খাতায় হাজিরা দিতে না পারে।

এ বিষয়ে ঐ মাদ্রাসার সুপার বলেন, জাহাঙ্গীর সাহেবের অভিযোগ সব মিথ্যে কথা আমি কোন টাকা পয়সা নেই নায়। মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের জন্য দুই লখ টাকা চেয়েছিলাম সেখান থেকে পঁচাত্তর হাজার টাকা দিয়েছে সেটা দিয়ে মাদ্রাসার কিছু বেঞ্চ তৈরি করেছি অনেকন লোক তার কাছে টাকা পবে তাই সে বিল পাবার লুকিয়ে থাকে।সে যাতে নিয়মিত ক্লাস করে তাই চাপ দেই মাঝে মাঝে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি মইদ তালুকদার বলেন,অনেক কষ্ট করে মাদ্রাসাটি দাড় করিয়েছি। মাদ্রাসার বিষয়ে কোন অনিয়ম আমি মেনে নিবো না। জাহাঙ্গীর হুজুর মেডিকেল রিপোর্ট দিয়েছে আমি তাকে নিয়মিত ক্লাস করতে বলে দিয়েছি। যদি সুপারের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে কোন লেনদেন করেও থাকে সেটা আমি সভাপতি থাকাকালীন না সেটা সুপারের বিষয়।

এ বিষয় নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ আমি এখনো হাতে পাইনি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।